‘বিশ্বব্যাংকের কান ধরে উঠবস করা উচিত’
পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ করায় বিশ্বব্যাংকের কান ধরে উঠবস করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২ নভেম্বর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করতে এ বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বলেছিল পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। কানাডার কোর্টে প্রমাণ হয়েছে দুর্নীতি হয়নি। এরপর বিশ্বব্যাংকের কান ধইরা উঠবস করা উচিত। শুধু তারা না, যারা বলছে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে, তাদের সবাইকে কানধরে উঠবস করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘চিন্তা করেন যাদের দুর্নীতিবাজ বলেছিল, কোর্টে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার আগে তাদের জীবনের দিনগুলো কীভাবে চলছে। অনেকে তো আত্মহত্যার পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। তারা যখন রাস্তা দিয়ে বের হয় ছেলেমেয়ের সামনে ফিসফিস শব্দ করতো। এরা চোর, এরা দুর্নীতিবাজ। এ জীবন মানুষের জন্য কত দুর্বিসহ যারা ভদ্রলোক, যাদের মানসম্মানের জ্ঞান আছে। তারাই উপলব্ধি করতে পারে।’
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কিন্তু খালেদা জিয়া এটা করবে না। এতিমের টাকা চুরি করে। তার আবার চোর সাজলে অসুবিধা আছে। মানিলন্ডারিং-এর টাকা ফিরে আসছে। তার আবার মানসম্মান। কিন্তু বিশ্বব্যাংক যাদের বিনা অপরাধে চোর বলছে, দুর্নীতিবাজ বলছে আজকে তাদের কাছে কিসের কৈফিয়ত? এখন বলে সরি। আপনার সিগারেটের আগুনে আমার শার্ট পুড়ে গেল! এখন বলেন, সরি! কাজেই এ সমস্ত সংস্থার সাবধানে কথা বলা উচিত।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আবারও আগুন নিয়ে নামছেন। আবারও বোমাবাজি করছেন। এটাতো পরিষ্কার, কারা এ সমস্ত হত্যাকাণ্ড করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ধর্মের কথা বলে। আমরা জানি আমাদের কিতাবে আছে। শবে বরাতের পবিত্র রাত, এ রাত ইবাদতের রাত। এ রাতে বৃক্ষরাজি গাছপালাও ইবাদত করে। সেই রাতে যারা কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাসে পেট্রোলবোমা মেরে ঘুমন্ত মানুষকে হত্যা করল। তারাই আশুরার দিন একই কাজ করছে। এদের কাছে ধর্ম, ধর্ম না। ধর্মকে ব্যবহার করে এরা মানুষ খুন করে।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘এ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। জনতার সমুদ্রে এদের চিরতরে বঙ্গপোসাগরে ভাসিয়ে দিতে হবে। তাই আমাদের ২ নভেম্বরের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে। ওই জনসমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গে তারা চিরতরে ভেসে যাবে।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন