বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিশ্বের প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা ডেঙ্গির ঝুঁকিতে

গোটা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা এমন বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করছেন, যে সব অঞ্চল ডেঙ্গি সংক্রমণ প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত৷ এই ধরনের তথ্য খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র৷ অর্থাৎ, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ বসবাস করছেন ডেঙ্গি সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে৷

ডেঙ্গি সংক্রমণ প্রবণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলকে৷ হু-র তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গি প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত ওই সব অঞ্চলে বসবাস করছেন গোটা বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষ৷ কাজেই, কীভাবে, কোন পথে ডেঙ্গি সংক্রমণের কবল থেকে রক্ষা পেতে পারেন ওই সব অঞ্চলের বাসিন্দারা, সেই সব বিষয়ে আরও সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছে হু৷ একই সঙ্গে, এই বিষয়টি নিয়ে হু উদ্বেগেও রয়েছে৷ কেননা, ডেঙ্গির সংক্রমণ মোকাবিলায় আগের তুলনায় বাড়ছে সচেতনতা৷ অথচ, গোটা বিশ্বে ডেঙ্গি সংক্রমণের সংখ্যাও আবার কম নয়৷ হু-র তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর গোটা বিশ্বের পাঁচ থেকে ১০ কোটি বাসিন্দা ডেঙ্গি সংক্রমণের শিকার হন৷ যার মধ্যে পাঁচ লক্ষ আক্রান্ত ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভারের শিকার হন৷

বিশেষজ্ঞদের কথায়, ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভারের ক্ষেত্রে আক্রান্তের প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যায়৷ হু-র ওই তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গির কারণে প্রতি বছর ২২ হাজার আক্রান্তের মৃত্যু হয়৷ যার মধ্যে অধিকাংশ আবার শিশু৷এমন পরিসংখ্যান৷ আর, তার সঙ্গে তথ্য, গোটা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের বসবাস ডেঙ্গি সংক্রমণ প্রবণ অঞ্চলে৷ স্বাভাবিক কারণেই এই দুই কারণে উদ্বেগে রয়েছে হু৷ তেমনই আবার, ওই দুই কারণে উদ্বেগে রয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশেষজ্ঞরাও৷ তবে, চিকিৎসার তুলনায় অধিক শ্রেয় পন্থা হিসেবে গণ্য হয় রোগ মোকাবিলার বিষয়টি৷ কাজেই, ডেঙ্গি সংক্রমণের কবল থেকে রক্ষা পেতে, ডেঙ্গি প্রতিরোধের উপরেই অধিক গুরুত্ব আরোপ করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ যে কারণে, ডেঙ্গির সংক্রমণ মোকাবিলায় সমাজের বিভিন্ন অংশে আরও বেশি সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা৷ বিশেষজ্ঞদের কথায়, মানুষের মধ্যে ডেঙ্গি সংক্রান্ত বিষয়ে যত বেশি বাড়বে সচেতনতা, তত বেশি দেখা দেবে ডেঙ্গি মোকাবিলার সফলতা৷

ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশা কামড়ানোর চার থেকে সাত দিন পর আক্রান্তের শরীরে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ৷ ওই সব উপসর্গ তিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে৷ ডেঙ্গি সংক্রমণের উপসর্গ হিসেবে সাধারণত প্রবল জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পেশি এবং গাঁটে গাঁটে ব্যথা, চোখের পিছনের দিকে ব্যথা, বমি বমি ভাব অথবা বমি, শরীরের বিভিন্ন অংশে র্যাশ অর্থাৎ, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে৷ তবে, ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভারে আক্রান্ত হলে ওই সব ফুসকুড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে৷ এমনকী, নাক এবং মাড়ি থেকেও হতে পারে রক্তক্ষরণ৷ এই ধরনের বিভিন্ন উপসর্গ থেকে সাধারণত সপ্তাহ খানেকের মধ্যে নিস্তার মিলতে পারে৷ তবে, নাক এবং মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে, বমি এবং তার সঙ্গে অসহ্য পেট ব্যথা হতে থাকলে, আক্রান্তের যকৃৎ, ফুসফুস এমনকী হৃদযন্ত্রেও দেখা দিতে পারে সমস্যা৷ অ্যাজমা, ডায়াবেটিস সহ অন্য কয়েdengue.03কটি অসুখে আক্রান্ত যদি ডেঙ্গির শিকার হয়ে পড়েন, সে সব ক্ষেত্রেও প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যায়৷ ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভারের ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি আচমকা অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের সমস্যাও দেখা দিতে পারে৷ সেক্ষেত্রেও আক্রান্তের প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যায়৷

এ দিকে, ডেঙ্গি সংক্রমণের মরসুম আবার হাজির৷ কাজেই, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সতর্ক হওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায়ও নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ গত বছরও এমন সময়ে দেশের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছিল ডেঙ্গির সংক্রমণ৷ ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম-এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ দেশে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি৷ চলতি বছরে ইতিমধ্যেই দুই হাজারের বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে৷ উল্টোডাঙার কাছে ইএম বাইপাসের ধারে অবস্থিত বেসরকারি এক হাসপাতালের চিকিৎসক এস কে দাস বলেন, ‘‘ডেঙ্গি হল পতঙ্গবাহিত অসুখ৷ এডিস ইজিপ্টাই এবং এডিস অ্যালবোপিক্টাস প্রজাতির স্ত্রী মশা বহন করে ডেঙ্গির জীবাণু৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের মশার অস্তিত্ব রয়েছে৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ডেঙ্গির সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতার পাশাপাশি কীভাবে মশার কামড় থেকেও রক্ষা মিলবে, সে সবের জন্য সাধারণ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি৷’’

ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়৷ যদিও, বিশেষজ্ঞদের কোনও কোনও মহলের দাবি, রাতেও কামড়াতে পারে ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশা৷ এই ধরনের মশার পা এবং শরীরে সাদা-কালো ছাপ থাকে৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের মশার কামড় ব্যথাহীন হওয়ায়, অনুভব করা যায় না যে শরীর কোনও অংশে মশা কামড়াচ্ছে কি না৷ চিকিৎসক এস কে দাস বলেন, ‘‘কোনও ডেঙ্গি আক্রান্তকে যদি এডিস ইজিপ্টাই অথবা এডিস অ্যালবোপিক্টাস প্রজাতির স্ত্রী মশা কামড়ায়, এবং তার পর ওই মশা যদি কোনও সুস্থ মানুষকে কামড়ায়, তা হলে ওই ডেঙ্গি আক্রান্তের রক্ত থেকে ওই মশার মাধ্যমে ওই সুস্থ মানুষের রক্তে ডেঙ্গির ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে৷’’

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশা সাধারণত ঘরে অথবা মানুষের আশপাশে থাকে৷ ঠান্ডা অথবা ছায়া রয়েছে এমন স্থানে থাকে এই ধরনের মশা৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের মশা মানুষের পায়ের পাতা এবং সংলগ্ন স্থানে কামড়ায়৷ সূর্যোদয়ের পরে এবং সূর্যাস্তের আগের দু’ ঘন্টা, সাধারণত এই দুই সময়ে ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশা বেশি দেখা যায়৷ ঘরের বাইরেও কামড়াতে পারে ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশা৷

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন

কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন

জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন

  • ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
  • কোন খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহজ করবে : খাদ্য সচিব
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বিশ্বের শক্তিশালী এমআরআই মেশিনে মস্তিষ্কের প্রথম চিত্র প্রকাশ
  • H5N1 ভাইরাস ছড়াচ্ছে, কোভিডের চাইতে 100 গুণ বেশি বিপজ্জনক
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?