বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ
মানবাধিকার প্রতিটি মানুষের জন্মগত ও অবিচ্ছেদ্য অধিকার । মানুষ এ অধিকার ভোগ করবে এবং চর্চা করবে। তবে এ চর্চা অন্যের ক্ষতিসাধন ও প্রশান্তি বিনষ্টের কারণ হতে পারবে না। মানবাধিকার সব জায়গায় এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। এ অধিকার একই সঙ্গে সহজাত ও আইনগত অধিকার। স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক আইনের অন্যতম দায়িত্ব হল এসব অধিকার রক্ষণাবেক্ষণ করা। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ ।
১৯৫০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষিত হওয়ার পর মানবাধিকারের প্রতি জাতিসমূহের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সংবাদমাধ্যম ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া, রেডিও-টেলিভিশনে বিশেষ আয়োজন রয়েছে । দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকার ও সুশাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়েছে। পাশপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।সরকার দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের জীবনমান উন্নয়নসহ সর্বস্তরে মানবাধিকার রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও সংগঠনকে মানবাধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানান। জনগণের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ পালিত হচ্ছে বলে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণায় সন্নিবেশিত সারাবিশ্বের সকল মানুষের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে। তার সরকার বিগত সাত বছরে মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছে ‘
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ অর্জনে আমরা দারিদ্র্য, ক্ষুধারোগ এবং নিরক্ষরতা দুরীকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের সরকার স্বাধীনতার রক্ষক এবং আমাদের গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ পূর্ণ বাক স্বাধীনতা ভোগ করছে।
তিনি নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সকল প্রকার সহিংসতা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ গুরুত্বদেয়া এবং এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজ নির্মাণ করতে চাই, যেখানে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সত্যিকার অর্থে নিরাপদ থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের সমর্থনে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই চেতনায় বিশ্বের যেখানেই যে কেউ বসবাস করুক না কেন, তাদের শান্তি, ন্যায় বিচার, স্বাধীনতা ও মানবাধিকার অব্যাহত সমর্থনে এই মানবাধিকার দিবসে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভরিতে এবার ১,৯৯৪ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনবিস্তারিত পড়ুন
সংস্কার হলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত কমানো সম্ভব জানালো সিপিডি
মূল্য নির্ধারণ কাঠামোর সংস্কার হলে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১বিস্তারিত পড়ুন
রাজশাহীতে সমন্বয়ককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় এক সমন্বয়ককে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন