সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিশ্লেষণ: ট্রাম্প কেন জিতলেন, হিলারি কেন হারলেন?

আমেরিকার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় ব্যতিক্রমী, সন্দেহ নেই। এটা ছিলো রাজনৈতিক আভিজাত্যের বিরুদ্ধে একটি বিপ্লবের মতো। খবর- বিবিসি

আমেরিকার ভোটাররা হিলারি ক্লিনটনের মধ্যে সেই আভিজাত্যের ছাপই দেখতে পেয়েছেন, যেখানে ভঙ্গুর রাজনীতির ছাপ রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই ভঙ্গুরতা ঠিক করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোটারদের ভোট পেয়েছেন। অসংখ্য মানুষ তাকে ভোট দিয়েছে, কারণ তিনি প্রচলিত রাজনীতির বাইরে থেকে এসেছেন।

আমেরিকার বিভিন্ন এলাকায়, রাস্তায়, দোকানে সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসির সংবাদদাতা। তারা বলেছে, তারা হোয়াইট হাউজে একজন ব্যবসায়ীকে দেখতে চায়, কোন পেশাদার রাজনীতিবিদকে নয়। ওয়াশিংটনের মানুষজনের প্রতি তাদের বিরাগ অকল্পনীয়।

ইমেইল কেলেঙ্কারির কারণে হিলারি ক্লিনটনের উপর আমেরিকানদের বিশ্বাসের ঘাটতি আছে। এই ঘটনাটি অনেক ভোটারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সাধারণ আমেরিকানরা তাকে নিজেদের নয়, বরং বরাবরই এলিট গোষ্ঠীর একজন সদস্য হিসাবে দেখেছেন।

ভাবা হতো যে, আমেরিকার নারীরা হিলারিকেই বেছে নেবেন। কিন্তু প্রাইমারিতে বার্নি স্যান্ডার্সের সাথে প্রতিযোগিতার সময়েই টের পাওয়া গেছে, দেশের তরুণ নারী ভোটারদের টানতে পারা তার জন্য কতটা কঠিন। বিল ক্লিনটনের নারী কেলেঙ্কারিকে প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ বা ক্লিনটনের ওই ঘটনাগুলোও হিলারির জন্য ক্ষতিকর হয়েছে। আবার অনেক পুরনো ধ্যানধারণার পুরুষ ভোটার, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে একজন নারীকে দেখতে চাননি।

বারাক ওবামা এবং হিলারি পক্ষের অন্য নেতারা বরাবরই ফাস্ট লেডি হিসাবে তার অভিজ্ঞতা, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তার যোগ্যতার কথা তুলে ধরেছেন। কিন্তু আমেরিকার ভোটাররা চেয়েছিলেন নতুন কাউকে। যখন অনেক আমেরিকান পরিবর্তন চাইছে, তখন তিনি যেন পুরনো জিনিসগুলো ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আমেরিকার ইতিহাসে কোন পার্টির পক্ষেই পরপর তিনবার হোয়াইট হাউজে যাওয়া বরাবরই কঠিন। ১৯৪০ সালের পর ডেমোক্রেটরা এটা পারেনি। আবার অনেক ভোটারই ‘ক্লিনটন’দের উপর বিরক্ত হয়ে গেছে।

হিলারি ক্লিনটনের শ্লোগান ছিলো, একত্রে শক্তিশালী হয়ে উঠবো। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শ্লোগান, আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করে তোলো। প্রচারণার দিক থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শ্লোগান অনেক সুবিধা পেয়েছে।

হিলারির প্রচারণায় অনেক কৌশলগত ক্রুটি ছিলো। তিনি এমন সব রাজ্যের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন, যেখানে তার জয়ের দরকার ছিলো না। যেমন নর্থ ক্যারোলিনা বা ওহিও। বরং তার ওই ১৮টি রাজ্যে বেশি সময় দেয়া দরকার ছিলো, যারা গত ছয়টি নির্বাচন ধরে ডেমোক্রেটদের ভোট দিয়ে আসছে।

অন্যদিকে পেনসিলভানিয়া বা উইসকনসিনের মতো রাজ্য, যেগুলোর ভোট ১৯৮৪ সালের পর আর রিপাবলিকানরা পায়নি, তোর ভোট দখল করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সর্বশেষ কথা হলো, এটা শুধু মাত্র যে হিলারি ক্লিনটনকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে তা নয়, এর মাধ্যমে আসলে বারাক ওবামার আমেরিকাকেই প্রত্যাখ্যান করেছেন আমেরিকান ভোটাররা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ