বিসিবির কাড়ি কাড়ি টাকার ফল শূন্য
অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে চালু করা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাই পারফর্ম্যান্স প্রোগ্রামের (এইচপি) দৃশ্যমান কোনো সুফল নেই। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে এই কার্যক্রমের দ্বিতীয় সংস্করণ শেষ হয় গত আগস্টে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এই ধরনের কার্যক্রম কোনো কাজ আসছে না।
২০১৫ সালে এক মিলিয়ন ইউএস ডলারের এই কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের পাইপলাইনে বেশি বেশি ক্রিকেটারকে আনতে এটি চালু করা হয়। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, এই কার্যক্রমের নিটফল ‘শূন্য’।
জানতে চাইলে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার নাজমুল আবেদিন বলছেন, পরের বার এটি অন্য সময়ে করা হবে। এখন যে মাসে হয়, তাতে এটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বাংলাদেশের মতো বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এই ধরনের কার্যক্রম চালু আছে। ওই সব দেশের কাজ দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়া বিশ্লেষক ওয়েন গোল্ডস্মিথ। উন্মুক্ত এক গবেষণায় তিনি বলছেন, অন্যান্য দেশগুলো স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদি লক্ষ্য ঠিক করে এই কার্যক্রম সাজায়।
বাংলাদেশের চার মাসের এই কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত অল্প সময়ে এটি কয়েকজন ক্রিকেটারের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগের জন্য স্থায়ী সফলতা আনে না।
‘যদি আমরা সাকিব কিংবা তামিমের চেয়ে ভালো খেলোয়াড় বের করতে না পারি, তবে এই কার্যক্রম দিয়ে কী হবে। এইচপি প্রোগ্রামে সর্বশেষ যারা অংশ নিয়েছিল তাদের মধ্যে অধিকাংশ ক্রিকেটারই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারেনি।’ বলেন জাতীয় দলের সাবেক কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
সাকিবের গুরু বলে পরিচিত বর্ষীয়ান এই কোচ মনে করেন এবারও একই অবস্থা হবে, ‘এইচপির পরে ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাদের দিকে নজর রাখতে হবে। না হলে প্রতিবছর একই অবস্থা হবে।’
নাজমুল আবেদিন বলছেন এই ধরনের পরিকল্পনা আছে, ‘তাদের দিকে নজর দেয়ার চেষ্টা করবো। সেই সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করাতে এইচপির খেলোয়াড়দের জন্য সপ্তাব্যাপি ক্যাম্প করারও চিন্তাভাবনা আছে।’
এইচপিতে এবার ব্যাটসম্যানদের জন্য বিশেষ কোনো কার্যক্রম ছিল না। শুরু থেকে শোনা যাচ্ছিল কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, মারভান আত্তাপাত্তু অথবা স্টুয়ার্ট ল’কে ব্যাটিং কোচ হিসেবে আনা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাউকে দেখা যায়নি। স্থানীয় কোচদের দিয়েই কাজ চালানো হয়েছে। শুধুমাত্র পেসার এবং স্পিনারদের জন্য দুইজন খণ্ডকালীন কোচের ব্যবস্থা করা হয়। পাকিস্তান থেকে মাশরাফিদের জন্য আনা হয় আকিব জাভেদকে। আর ভারত থেকে স্পিনারদের জন্য আনা হয় ভেঙ্কাপতি রাজুকে।
প্রধান কোচ নিয়েও ছিল বিপত্তি। অস্ট্রেলিয়ান সিমন হেলমটকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হলেও নিরাপত্তার অজুহাতে তিনি ঢাকায় পা রাখেননি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন