শুক্রবার, নভেম্বর ১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিয়ের আগে অবশ্যই এইসব পরীক্ষা করে নেয়া উচিত!

বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ে উভয়েরই কিছু শারীরিক এবং মানসিক পরীক্ষা করে নেয়া উচিত। চলুন পাঠক জেনে নিই প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো সম্পর্কে।

সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা:

বয়স বেশি না কম, শারীরিক উচ্চতা, ওজন, রক্তচাপ, হেপাটাইটিসসহ সব টিকা দেওয়া আছে কি না, বিড়ি-সিগারেট, মদ-গাঁজা বা অন্য কোনো নেশা করে কি না, মানসিক অবস্থা ঠিক আছে কি না জেনে নিতে হবে।

বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে হলে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব হতে পারে। বিদেশে পরিচালিত কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি বয়সী বাবাদের সন্তানদের বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে।

বংশগত রোগ:

সাধারণত যে ধরনের বংশগত রোগ বেশি দেখা যায় সেগুলো হলো থ্যালাসেমিয়া, মাসকুলার ডিসট্রফি (মাংসপেশিতে একধরনের দুর্বলতা), নার্ভের বিশেষ কয়েকটি অসুখ, এপিলেপ্টিক ডিজঅর্ডার (মৃগী রোগ), মানসিক অসুস্থতা।

যেমন- সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যান্সার, যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, কোলন

ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোক), ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ওবেসিটি, অ্যাজমা, গ্লুকোমা ইত্যাদি।
বিয়ের আগে মেডিক্যাল টেস্ট?(ভিডিও)
সন্তানদের মধ্যে সংক্রমিত হয় এমন কিছু বংশগত রোগ রয়েছে, যা শারীরিকভাবে প্রকাশিত না-ও হতে পারে। মূলত শারীরিকভাবে প্রকাশিত হয় না এমন রোগের জন্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিয়ে আত্মীয়দের মধ্যে হলে বা একই গোত্রভুক্ত হলে বিয়ের আগেই এ ধরনের পরীক্ষা করা জরুরি।

বংশগত রোগের ক্ষেত্রে যেমন মা-বাবা দুজনের জিন থেকে অসুখ দেখা দেয়, আবার অনেক সময় মা-বাবা কোনো একজনের জিন থেকেও অসুখ হতে পারে। ছেলেমেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই বংশগত বা হেরিডিটারি ডিজিজের সমস্যা হতে পারে।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন হিমোফেলিয়ার (রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা) সমস্যা, কালার ব্লাইন্ডনেসের মতো সমস্যা অনেক সময় মায়ের থেকে ছেলের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত মেয়েসন্তানরা আক্রান্ত হয় না। এমন অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক রোগ মহিলাদের মাধ্যমে পরিবাহিত হয় যেগুলো তারা বহন করে, কিন্তু রোগটি তার ক্ষেত্রে প্রকাশ পায় না। এটা ছেলেসন্তানদের মধ্যে সংক্রমিত হলে ক্ষতিকর হতে পারে। শরীর থেকে রক্ত বা টিস্যু নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগগুলো নির্ণয় করা হয়।
বিয়ের আগেই আমার স্তন ঝুলে গিয়েছে, বিয়ে করতে ভয় লাগছে! কি করবো এখন?
বন্ধ্যাত্ব:

যৌন অক্ষমতা বা ধ্বজভঙ্গ, অ্যাজোসপারমিয়া এবং সন্তান ধারণে অক্ষমতার মতো সমস্যা থাকলে দম্পতির ভবিষ্যৎ পরিণতি ভালো হয় না। হরমোন ও সিমেন (শুক্র-ধারক বীর্য) অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে এর একটি সমাধান পাওয়া সম্ভব। আশার কথা, ৯৮ শতাংশ তরুণেরই কোনো শারীরিক সমস্যা পাওয়া যায় না।
বিয়ের আগেই যৌন মিলন করলে নারীরা যেসব সমস্যায় ভোগেন
মাত্র ২ শতাংশ তরুণের অ্যাজোসপারমিয়া বা সন্তান ধারণের অক্ষমতা ধরা পড়ে। বিয়ের মাধ্যমে মানুষ তার সন্তান কামনা করে এবং বংশগতি রক্ষা করে। বন্ধ্যত্ব হতে পারে পুরুষ-নারী উভয়ের। তেমনি বন্ধ্যত্ব হতে পারে পারিবারিক জীবনে চরম অশান্তির বড় কারণও। তাই আপাতদৃষ্টিতে এ-সংক্রান্ত পরীক্ষা নিষ্প্রয়োজন মনে হলেও চিকিৎসা দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

যৌন রোগ:

বিয়ে বা শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে এমন কিছু রোগ ছড়ায়, যা সঙ্গীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ইদানীং সিফিলিস, গনোরিয়া, জেনিটাল হারপিস, স্যানক্রয়েডসহ নানা যৌন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করা যায়।

তাই বিয়ের আগে সম্ভব হলে ভিডিআরএল, প্যাপস্মেয়ার ইত্যাদি পরীক্ষা করে (রোগ থাকলে) তার চিকিৎসা করে নিলে নিজের পরিবারটিই রোগমুক্ত থাকবে। তাই নিজ উদ্যোগে এ-জাতীয় পরীক্ষা করা দরকার। এ ছাড়া এইডসের মতো রোগের ঝুঁকি তো আছেই। এখন আর চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়ার সময় নেই যে এ-জাতীয় রোগ থেকে একজন মানুষ মুক্ত। তা ছাড়া বিজ্ঞানের এই যুগে সেটা ভাবাও বোকামি। তাই পরীক্ষা করে নিন। বিয়ের আগে যেসব জানতে হবে অবশ্যই !

রক্তপরীক্ষা:

বিয়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো রক্তের রোগ নির্ণয়, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে পারিবারিক জীবনে কিছু জটিলতা হতে পারে। যাঁদের রক্তে আরএইচ ফ্যাক্টর নেই তাদের রক্তের গ্রুপ ‘নেগেটিভ’ বলা হয়, যেমন এ নেগেটিভ, বি নেগেটিভ ইত্যাদি।

নেগেটিভ গ্রুপধারী কোনো নারীর সঙ্গে পজিটিভ গ্রুপধারী পুরুষের বিয়ে হলে তাদের সন্তান জন্মদানের সময় জটিলতা হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। শিশুর মৃত্যু হতে পারে। এর পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া, রক্তের কোনো অসুখ আছে কি না পরীক্ষা করে জেনে নিতে হবে।

পরীক্ষায় খারাপ কিছু পাওয়া গেলে:

এক্ষেত্রে নেগেটিভ চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের ভালো দিকটিকেই বেছে নিতে হবে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা করে ভালো হওয়া সম্ভব। তবে এইডস বা এমন কোনো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হলে তা গোপন না রেখে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন। যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে বা যাকে জীবনসঙ্গী ঠিক করছেন তাকে বিষয়টি জানান। এই বিষয়গুলো কখনই গোপন করবেন না।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?

বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন

ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ

চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন

  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বাসি দই ও পান্তা ভাতের আশ্চর্যজনক উপকারিতা
  • স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হলো লাউ
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়