বরিশালের আগৈলঝাড়ার আবাসিক হোটেলে প্রেমিকাকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় বিয়ের দাবিতে ওই প্রেমিকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অনশন করছেন ওই প্রেমিকা।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামের শিক্ষক সুনীল বালার ছেলে ও রাংতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জিত বালা ও একই উপজেলার আস্কর গ্রামের হরেণ ওঝা ওরফে বাগচীর মেয়ে ও উপজেলার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী লতিকা বাগচীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৮ অক্টোবর সঞ্জিত তার প্রেমিকা লতিকাকে নিয়ে জেলা শহর বরিশালের হোটেল মেলোডিতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাত যাপন করেন।

শনিবার ভোরে সঞ্জিত প্রেমিকা লতিকাকে হোটেলের কক্ষের বাইরে থেকে আটকে রেখে পালিয়ে যান। হোটেল কর্তৃপক্ষ লতিকাকে কক্ষ থেকে উদ্ধার করলে লতিকা শনিবার সকাল থেকেই বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সঞ্জিত বালার বাড়িতে অনশন শুরু করেন। একপর্যায়ে লতিকা শনিবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হয়ে ঘটনা জানালে চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার লতিকাকে অভিযুক্ত সঞ্জিতের বাবা-মা’র জিম্মায় দিয়ে দেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার জানান, সঞ্জিত আত্মগোপনে রয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় মেয়ের পরিবারকে আসতে বলা হয়েছে। তারা এলে সামাজিকভাবে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বিয়ে পড়ানো হবে।