বিয়ের পরেই শ্বশুরবাড়িতে এমন কাজ করলেন নববধূ যে, লজ্জায় পড়লেন পরিবারের সকলে
দেখেশুনে মেয়েটিকে বেশ পছন্দই করেছিলেন প্রাক্তন সরকারি কর্মী সুমিত। ছেলের বউ হওয়ার উপযুক্ত মনে হয়েছিল রুক্মিণীকে। কিন্তু বিয়ের পরে পুত্রবধূরূপে সেই মেয়েকে ঘরে আনার পরেই সমস্ত ধারণা বদলে গিয়েছে সুমিতের।
ভালোবাসার আকর্ষণ এক দুর্বার আকর্ষণ। অনেক সময়ে বহু ঘটনার অভিঘাতও ভালবাসার টানকে দুর্বল করতে পারে না। সে রকমই দুর্নিবার এক প্রেমের সাক্ষী থেকেছে বিহারের এক পরিবার। বিয়ের পরেই নিজের শ্বশুরবাড়িতে এমন এক কাণ্ড করেছেন নববধূ, যার পরিণামে লজ্জায় মাটিতে মিশে গিয়েছেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সকলে।
ঘটনাস্থল বিহারের বক্সার জেলার ব্রহ্মপুর থানা এলাকা। মাস কয়েক আগে এলাকার বাসিন্দা সুমিত শাহ নিজের ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন গ্রামেরই রুক্মিণী নামের এক তরুণীর সঙ্গে। দেখেশুনে মেয়েটিকে বেশ পছন্দই করেছিলেন প্রাক্তন সরকারি কর্মী সুমিত। ছেলের বউ হওয়ার উপযুক্ত মনে হয়েছিল রুক্মিণীকে। কিন্তু বিয়ের পরে পুত্রবধূরূপে সেই মেয়েকে ঘরে আনার পরেই সমস্ত ধারণা বদলে গিয়েছে সুমিতের।
ব্রহ্মপুর থানা সূত্রে ঘটনার যে বিবরণ মিলেছে তা থেকে জানা গিয়েছে, বিয়ের পরে প্রথম কয়েক দিন শ্বশুরবাড়িতে যথেষ্ট আদরযত্ন পেয়েছিলেন রুক্মিণী। কিন্তু তার পর তাঁর স্বামী সুশান্ত কর্মসূত্রে উত্তর প্রদেশ চলে যাওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, পণ নিয়েই ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন সুমিত। কিন্তু বিয়ের পরেও রুক্মিণীর বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বধূর উপর। চলছিল অত্যাচারও। স্বামীকে ফোনে এই সমস্ত কথা জানাতেন রুক্মিণী। কিন্তু সুশান্ত কখনও গুরুত্ব দেননি সেই সমস্ত কথায়। তখনই অন্য রকম পরিকল্পনা করেন রুক্মিণী।
জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির ব্যবহারে অতিষ্ঠ রুক্মিণী আবার গোপনে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। এমনকী হপ্তা খানেক আগে সেই যুবক এসে হাজির হন রুক্মিণীর শ্বশুরবাড়িতেই। তাঁকে নিজের দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলে পরিচয় দেন বধূ। জানান, কর্মসূত্রে ওই যুবক দিল্লিতে থাকেন। এখন এখানেই কয়েকটা দিন তিনি থাকবেন। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা প্রথমটায় কিছুই সন্দেহ করেননি। আত্মীয় পরিচয়ে রুক্মিণীর শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন তাঁর ‘প্রাক্তন’ প্রেমিক।
কিন্তু রুক্মিণী এবং তাঁর সেই আত্মীয়ের ঘনিষ্ঠ মেলামেশা দেখে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সন্দেহ হয়। এক দিন দুপুরবেলা যখন রুক্মিণী ও তাঁর প্রেমিক ‘প্রেমলীলা’য় মগ্ন, তখন দু’জনকে হাতে-নাতে ধরেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বাড়ির বধূর এ হেন আচরণ দেখে হতবাক হয়ে যান সকলে। ওই যুবককে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। রুক্মিণীর কপালেও জোটে যথেষ্ট ভর্ৎসনা।
কিন্তু রুক্মিণী এত সহজে হার মানার পাত্রী নন। গত শুক্রবার রাতে তিনি নিজের প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। সঙ্গে নিয়ে যান নিজের সমস্ত গয়নাগাটি এবং টাকাপয়সা। শনিবার সকালে পুত্রবধূকে দেখতে না পেয়ে ব্রহ্মপুর থানায় ডায়েরি করেন সুমিত।
রবিবার সকালে নগর থানা এলাকা থেকে রুক্মিণীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে গ্রেফতার করে পুলিশ। রুক্মিণী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেছেন সুমিত।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সামনে রুক্মিণী জানিয়েছেন, ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ের আগে তাঁর প্রণয়সম্পর্ক ছিল। ওই যুবককেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ছেলেটি অন্য জাতের হওয়ায় বিয়েতে রাজি হননি রুক্মিণীর বাবা-মা। তার পর সুশান্তের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় রুক্মিণীর। শ্বশুরবাড়িতে তিনি মানিয়ে নিতেই চেয়েছিলেন, কিন্তু শ্বশুরবাড়ি লোকজনের খারাপ ব্যবহারই তাঁর মনে পুরনো ভালবাসাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন রুক্মিণী। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তিনি ওই যুবককে বিয়ে করার পরিকল্পনা নিয়েই শ্বশুরবাড়ি ছেড়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
প্রকাশ্যে জানালেনঃ দুই পরিচালকের সঙ্গে ‘প্রেম’ ছিল পায়েলের
টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বনামধন্য দুজন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও আবিরবিস্তারিত পড়ুন
প্রথম ‘সন্তানের’ জন্মলগ্নে কেঁদেছিলেন দেব ! দায়িত্ব অনেকটাই একা সামলাচ্ছেন তিনি
শিরোনাম পড়ে ভাবছেন, নায়ক দেব তো বিয়েই করেননি, তাহলে সন্তানবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত বাবা রাম রহিমের আয় কত, অনেকেই জানেনা?
ভারতের বিতর্কীত ধর্মগুরু বাবা রাম রহিমের পঞ্জাব, হরিয়ানায় স্থাবর সম্পত্তিরবিস্তারিত পড়ুন