বিয়ের প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্কঃ চিরকুট লিখে নারী পুলিশ সদস্যের ‘আত্মহত্যা’
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আশুলিয়ায় সাবিনা আক্তার (২৪) নামে এক নারী পুলিশ সদস্য আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়া থানার পেঁছনে আহাদ আলীর বাড়ি থেকে সাবিনার ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই কক্ষের ভেতরে নারী পুলিশ সদস্যের হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত পুলিশ সদস্য আশুলিয়া থানার কনস্টেবল ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর এলাকার হজরত আলী হজার মেয়ে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২০১০ সালের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে মানিকগঞ্জ জেলায় পুলিশ সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান সাবিনা। এর পর টাঙ্গাইল থেকে এ বছরের ২৮ জানুয়ারি আশুলিয়া থানায় যোগ দেন তিনি। সাবিনা আক্তারসহ আরো বেশ কয়েকজন নারী পুলিশ সদস্য আশুলিয়া থানার পেছনে আহাদ আলীর বাড়ির ৫তলায় ভাড়া থাকতেন। বুধবার দুপুরে ওই নারী সদস্য তার কক্ষে প্রবেশ করে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রতিবেশী অপর এক নারী সাবিনার কক্ষের সামনে গিয়ে তাকে ডাক দেয়। কোন সাড়া না পাওয়ায় তিনি কক্ষের দরজা খুলে নিহতের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। বিষয়টি আশুলিয়া থানায় জানালে আশুলিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশুলিয়া থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, একই থানার চাকুরির সুবাধে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে আশুলিয়া থানার কনস্টেবল জিয়ার সাথে নারী পুলিশ সদস্য সাবিনা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় আট মাস যাবৎ জিয়া ওই নারী পুলিশ সদস্যকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। তবে সাবিনা অধিকাংশ সময়ে ফোনে কথা বলতেন। পুলিশ সদস্যরা আরো অভিযোগ করে বলেন, জিয়া বিবাহিত ছিল। বিষয়টি না জানিয়েই তিনি সাবিনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তবে গত কয়েকদিন আগে জিয়া বিবাহিত বিষয়টি জানতে পেরে খাবারে অনিয়ম শুরু করে সাবিনা। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেলে সাবিনা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ সময় ওই পুলিশ কনস্টেবল জানান, তার একটি সন্তান রয়েছে। তিনি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এসব কারনে সাবিনা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের সুরতাহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। এসময় ওই কক্ষ থেকে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, আশুলিয়া থানার নারী পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন