তিথি-নক্ষত্র মেনে শুভবিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল বৃহস্পতিবার। উত্তর ফাল্গুনি নক্ষত্রে সপ্তমী তিথিতে শুভবিবাহ হয়েছিল ৩০ শে জুন রাতে। কিন্তু শুভবিবাহ ঠিকঠাক হলেও অশুভ ঘটনা ঘটে গেল প্রীতিভোজের আসরে।

বৌভাত চলাকালীন এলোপাথাড়ি গুলি চলল আসানসোলের কাকরসোলে। বন্দুকবাজ যুবক বরপক্ষের চেনা-পরিচিত। তার ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান নিমন্ত্রিত এক গৃহবধূ। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বরের ভাই ও এক মহিলা আত্মীয়া।

সাগর বাউরি ও মহিমা বাউরির বিয়ের পর শনিবার ছিল বৌভাত। সন্ধ্যা থেকে নিমন্ত্রণ রক্ষা করছিলেন আত্মীয়রা। রাত দশটার পর সানাই ছেড়ে তখন সবে সাউন্ড বক্সে হিন্দি গান বাজতে শুরু করেছে, একদল আত্মীয়-বন্ধু-বান্ধব তখনও প্যান্ডেলে খাওয়া দাওয়া করছেন।

অন্য একদল যুবক-যুবতী, বাচ্চা তখন প্যান্ডেলের বাইরে গানের তালে নাচতে ব্যস্ত। ঠিক তখনই অঘটন!

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাত ১০ টা ৪৫ নাগাদ হঠাৎ করেই মদ্যপ অবস্থায় হাজির হয় স্থানীয় অলোক সাহি। বরের ভাই কিষণ বাউরির বন্ধু। সবার সামনেই কিষণকে লক্ষ্য করে সে গুলি চালায়। গুলির আওয়াজে সবাই ছুটে এলে অলোক এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। সরাসরি গুলি লাগে অনিতা বাউরি নামে এক গৃহবধূর বুকে। তিনি ডিসেরগড় থেকে এসেছিলেন নিমন্ত্রণরক্ষা করতে। ঘটনাস্থলেই মারা যান অনিতা দেবী। আরও এক মহিলা আত্মীয়া লক্ষ্মী বাউরির পেটে গুলি লাগে।

ততক্ষণে বন্দুকবাজ অলোক সাহিকে ধরে ফেলে সবাই। তাকে ধরে চলে গণপিটুনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অলোককে গ্রেফতার করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।

আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। বরের ভাই কিষণের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে।

এই ঘটনার পিছনে ঠিক কী কারণ বুঝে উঠতে পারছে না বরপক্ষ। বরের ভাই কিষণ ও অলোক দুই বন্ধু। তাঁরা একসঙ্গে মোবাইল ফোনে টাওয়ারে চাকরিও করেন।

তবে পুলিশের অনুমান, পুরানো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। ধৃত অলোক সাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।