বিয়ে আর্থিক সচ্ছলতার অঙ্গীকার- কথাটি কী সহিহ?
অর্থনৈতিক ব্যাপারে যারা শুধু মস্তিষ্কপ্রসূত বোধবুদ্ধি ওপর ভরসা করে তারাই অহেতুক ভেবে সারা হয়। তারা বলে, অভাব অনটন তো জেঁকে বসেছে, বিয়ে করব কীভাবে? বিবি বাচ্চাদের খাওয়াব কোত্থেকে? ভরণ-পোষণ হবে কীভাবে? এধরণের সংকীর্ণ চিন্তার লোকদের সান্ত¦না দিয়ে আল্লাহপাক বলেন, অর্থনৈতিক ব্যাপার নিয়ে এতো ভাবার প্রয়োজন নেই; রিজিক তো আমার হাতে।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে শরিয়তে বিয়ে ওয়াজিব হয়ে যায়। ফুকাহায়ে কেরামের নিকট এটা সর্বসম্মত মাসআলা। বিয়ের গুরুত্ব এতেও বোঝা যায়, অর্থনৈতিক অস্থিরতায় যারা বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছে তাদের অহেতুক ভয় বিদূরিত করে আল্লাহপাক বলেন,
اِنْ يَّكُوْنُوْا فُقَرَاءَ يُغْنِيْهِمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهِ اِنَّهُ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ ( نور – ٤
‘তারা যদি দরিদ্র হয় আল্লাহপাক নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন। নিশ্চয়ই তিনি প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ।’
অর্থনৈতিক ব্যাপারে যারা শুধু মস্তিষ্কপ্রসূত বোধবুদ্ধি ওপর ভরসা করে তারাই অহেতুক ভেবে সারা হয়। তারা বলে, অভাব অনটন তো জেঁকে বসেছে, বিয়ে করব কীভাবে? বিবি বাচ্চাদের খাওয়াব কোত্থেকে? ভরণ-পোষণ হবে কীভাবে? এধরণের সংকীর্ণ চিন্তার লোকদের সান্ত¦না দিয়ে আল্লাহপাক বলেন, অর্থনৈতিক ব্যাপার নিয়ে এতো ভাবার প্রয়োজন নেই; রিজিক তো আমার হাতে।
পবিত্র কুরআনে নির্ভয় দিয়ে আল্লাহপাক বলেন—
وَ يَرْزُقُهُ مِنْ حَيْثُ لاَ يَحْتَسِبْ ( الطلاق
‘তিনি তাকে অকল্পনীয়ভাবে রিজিক দিবেন।’
نَحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَ اِيَّاهُمْ
‘আমি তোমাদেরকেও রিজিক দিব তাদেরকেও দিব।’
উদ্দেশ্য হলো বর্তমানের ওপর ভবিষ্যতের তুলনা করা ঠিক নয়। বরং রিজিকদাতা মহাশক্তিশালী প্রভুর ওপর ভরসা করা চাই। বিয়ের সময় হলে বিয়ে করে ফেলবে। পরে বিবি বাচ্চার ভরণ-পোষণ অর্থনৈতিক ব্যাপারে আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। হতে পারে বিবি বাচ্চার ওসীলায় বরকত হবে, বা তার পরিবার সহায়তা করবে, কোনো কাজের ব্যবস্থা করে দিবে। অথবা বিয়ের পর নিজের মাঝেই কর্তব্যবোধ জাগ্রত হবে; মেহনত পরিশ্রমের প্রেরণা সৃষ্টি হবে। বা স্ত্রী হাতের কাজ কিছু করবে। এভাবে কোনো না কোনো উপায় হয়েই যাবে।
হযরত থানবী [রহ.] আয়াতের এ অংশের ব্যাখ্যামূলক অর্থ করতে গিয়ে লেখেন, কর্মক্ষম পাত্রের বর্তমান অবস্থাকে ভবিষ্যতের ওপর অনুমান করো না। কেননা মানুষের অবস্থা সবসময় এক থাকে না। আজ যে দরিদ্র আল্লাহ চাহে তো কাল তাকে ধনী করে দিবেন। তাই অভাব অনটনকে বিয়ের জন্য প্রতিবন্ধক মনে করো না। বিয়েকে মনে করো না সচ্ছলতা বা প্রতিষ্ঠার পথে বাধা। কেননা সুখ সচ্ছলতা, অভাব অনটন সব নির্ভর করে আল্লাহ তাআলার চাওয়ার উপরে। আল্লাহর মর্জি যদি হয় দুঃখ-দারিদ্র, বিয়ে না করলেও তা থেকে মুক্তি নেই। আবার আল্লাহপাক যদি সচ্ছলতা দিতে চান বিয়ের পরেও হবে। তাই এসব ভ্রান্ত ধারণার প্রতি তেমন গুরুত্ব দেয়া উচিত নয়। আল্লাহ সর্বশক্তিমান। সুখ সচ্ছলতা তাঁর হাতে। যাকে চান তিনি ধনী বানিয়ে দেন; যাকে চান বানান ফকির। সকলের অবস্থা তিনি সম্যক অবগত। [বয়ানুল কুরআন]
মূল- মাওলানা জফিরুদ্দিন
অনুবাদ- মাওলানা মিরাজ রহমান
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন