বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিয়ে না করেই লিভ-ইন আইনসম্মত, কিন্তু ভাল কি?

আইন কোনও বাধা নয় আর সমাজও একটু একটু করে তার বহু প্রাচীন সংস্কার ত্যাগ করে এই ধরনের সম্পর্ককে নিমরাজি হলেও মান্যতা দিচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকা সম্পর্কের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল না মন্দ?

দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক অবিবাহিত মানুষ আইনসম্মতভাবেই একসঙ্গে থাকতে পারেন এদেশে। কিন্তু এভাবে থাকা কি ভাল?

স্বাধীন ভারতে এমন কোনও আইন কোনও দিন ছিল না যে প্রাপ্তবয়স্ক এবং অন্য কোনও বিবাহিত সম্পর্কে নেই এমন দু’ই নারী-পুরুষ বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকতে পারবেন না। যেটা ছিল সেটি একটি সামাজিক সংস্কার যা সাম্প্রতিককালে বহু মানুষ ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন। তা ছাড়া গত বছর সুপ্রিম কোর্টের একটি ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয়েছে যে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে যাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই গ্রাহ্য হবেন এবং ওই সম্পর্কের ফলে যদি কোনও সন্তান জন্মায় তবে তাকে বৈধ সন্তান হিসেবেই ধরা হবে। আইন কোনও বাধা নয় আর সমাজও একটু একটু করে তার বহু প্রাচীন সংস্কার ত্যাগ করে এই ধরনের সম্পর্ককে নিমরাজি হলেও মান্যতা দিচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকা সম্পর্কের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল না মন্দ?

এক কথায় এর উত্তর হয় না কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ বিষয়ের মতো এরও ভাল এবং মন্দ দু’দিকই রয়েছে। প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভাল দিকগুলি—

১) পরিবার এবং আত্মীয়-পরিজন ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলে না। শ্বশুর-শাশুড়ি নামক ঝামেলা দু’পক্ষেরই নেই। মুখ তেতো করে কাউকেই শ্বশুরকুলের কোনও দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের নিমন্ত্রণ রাখতে যেতে হয় না।

২) কোনও একজনের উপর সংসার খরচের সম্পূর্ণ দায়ভার নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে না। লিভ-ইন মানেই খরচে ভাগ-বাঁটোয়ারা। আত্মসম্মানবিশিষ্ট আধুনিক ভারতের নারী-পুরুষ এখন এই ভাবেই লিভ-ইন করেন।

৩) কেউ গলায় পা রেখে বলে না ‘‘বিয়ে যখন করেছ তখন আমার সঙ্গেই থাকতে হবে’’। আর সম্পর্ক শেষ করতে চাইলে উকিলের খরচ নেই, সামাজিক প্রশ্নবাণ নেই, কাউকে জবাবদিহি করার দায় নেই।

৪) সম্পর্ককে গলার ফাঁস বলে মনে হয় না তাই সম্পর্কের মাধুর্য বজায় থাকে পুরোমাত্রায়। সম্পর্ক সারাজীবনের জন্য টিকে যেতেও পারে আবার না-ও পারে— এই ভাবনাটাই আরও বেশি করে প্রত্যেকটা মুহূর্ত প্রাণভরে বাঁচার ইচ্ছেটাকে জাগিয়ে তোলে ও মনকে ফুরফুরে রাখে।

৫) স্ত্রী শব্দটার চেয়ে প্রেমিকা শব্দটার আবেদন অনেক বেশি। লিভ-ইন সম্পর্কে তাই যৌনসুখ তুলনামূলকভাবে বেশি।
এবার দেখা যাক খারাপ দিকগুলি কী কী—

১) যে কোনও মুহূর্তে ছেড়ে চলে যাওয়া যায়, কোনও আইনি সাহায্য লাগে না। তাই ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থেকেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে খুব বেশি। বিবাহিত হলে খুব খারাপ পরিস্থিতিতেও মানুষ সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে ঠিক উলটোটা হয়। সামান্য কারণেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।

২) অনেকেই শুধুমাত্র শারীরিক আকর্ষণে লিভ-ইন করেন আবার আকর্ষণ চলে গেলে সম্পর্ক ভেঙে দিতে একটুও দ্বিধা বোধ করেন না এবং এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হন মেয়েরা।

৩) লিভ-ইন সম্পর্কগুলি অনেক ক্ষেত্রেই অগভীর সম্পর্ক হয়। যেহেতু আইনি সীলমোহর পড়ে না তাই অনেকেই নিছক নিয়মিত যৌনজীবনের চাহিদায় লিভ-ইন করেন।

৪) একটু হোক বা বেশি লিভ-ইন নিয়ে সমাজের কটাক্ষ সহ্য করতেই হয়। বিশেষ করে ছোট শহরে থাকলে প্রায় একঘরে হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।

৫) যতই দেশের আইন অন্য কথা বলুক, লিভ-ইন সম্পর্কের ফলে সন্তান জন্মালে তাকে ছোটবেলা থেকেই বহু প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?

বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন

ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ

চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন

  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বাসি দই ও পান্তা ভাতের আশ্চর্যজনক উপকারিতা
  • স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হলো লাউ
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়