বিয়ে ৭ উপায়ে আপনার জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করবে
বিয়ের মাধ্যমে পরিবার গঠন করতে অনেকেই চান। কিন্তু দিন দিন সাফল্যজনক বিয়ে যেন কমে যাচ্ছে। মার্কিন এক জরিপে দেখা যায়, ১৯৬২ সালে যেখানে ২১ বছর বয়সী অর্ধেক ব্যক্তি ও ৩০ বছর বয়সী ৯০ শতাংশ ব্যক্তি কমপক্ষে একবার বিয়ে করেছে। কিন্তু ২০১৪ সালের জরিপে দেখা গেছে, ২১ বছর বয়সী মাত্র ৮ শতাংশ এবং ৩০ বছর বয়সী ৫৫ শতাংশ ব্যক্তি বিবাহিত। অর্থাৎ বিয়ের হার দিন দিন কমে যাচ্ছে। কিন্তু বিয়ে কী করা উচিত? গবেষকরা বলছেন অবশ্যই। এ লেখায় তুলে ধরা হলো বিয়ে করার সাতটি কারণ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে
অনেকেই নিজের ‘বেস্ট ফ্রেন্ডকে’ বিয়ে করবেন কি না, তা নিয়ে দ্বীধায় থাকেন। যদিও গবেষকরা বলছেন, নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করাই সবচেয়ে ভালো। কেননা বন্ধুরা একে অন্যকে যথাযথভাবে সামজিক সহায়তা যেমন দিতে পারেন তেমন নিজেদের মাঝেও ভালো বোঝাপড়া তৈরি করতে পারেন।
২. আর্থিক সুবিধা
বিবাহিত ব্যক্তিরা কিছুটা আর্থিক সুবিধা ভোগ করেন। তারা যদি যৌথভাবে কোনো একটি বাড়িতে বসবাস করেন তাহলে বাড়ির ট্যাক্সের আনুপাতিক হার কমে যায়। এছাড়া তারা ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে কম করেন। ফলে বিয়ে করলে তা আপনাকে আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী হতে সহায়তা করবে।
৩. বেতন বৃদ্ধি
বিয়ে ছেলেদের বেতন বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন গবেষণাতেও এ বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, বিয়ে ছেলেদের বেতন বাড়াতে ভূমিকা রাখে এবং বিবাহিত মানুষকে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান দায়িত্ববান বলে মনে করে। তবে বিবাহিত নারীদের মাঝে এ প্রবণতা সেভাবে দেখা যায় না।
৪. বিবাহিত নারী কম কাজ করে
বিয়ের পর নারীর বাইরের কাজ কমে যায়। এক গবেষণায় দেখা যায়, একই বয়সী বিবাহিত ও অবিবাহিত নারীদের মাঝে কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে পার্থক্য বিদ্যমান। বিবাহিত নারীরা অবিবাহিত নারীদের তুলনায় কাজ অনেকাংশে কমিয়ে দেন। এ কারণে বিবাহিত নারীদের আয়ও কমে যায়।
৫. বিবাহিত মানুষের হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে
বিভিন্ন গবেষণায় এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে যে, বিবাহিত মানুষের নানা ধরনের রোগের সম্ভাবনা কমে যায়। বিয়ের পর স্বাস্থ্যগত বিষয়ে সচেতনতার ফলেই এমনটা হয়। গবেষকরা বলছেন, বিবাহিত মানুষের হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায় পাঁচ শতাংশ। এছাড়া বিবাহিত মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে এবং তারা দীর্ঘজীবী হয়।
৬. বিয়ে স্মৃতিশক্তির জন্যও ভালো
বিয়ের ফলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হয়। আর এর প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তির ওপরেও। গবেষণায় দেখা গেছে, যে ব্যক্তিরা ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো ঝামেলা ছাড়াই বিবাহিত ছিলেন তাদের স্মৃতিশক্তি অবিবাহিতদের তুলনায় অনেক ভালোভাবে কাজ করছে। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে বয়স্ক বিবাহিতদের মাঝে পরীক্ষাতেও। প্লস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায়, বিবাহিত ব্যীক্তদের ডিম্যানশিয়া রোগের ঝুঁকি অবিবাহিতদের তুলনায় কম থাকে।
৭. বিবেকবান সঙ্গী থাকলে কর্মস্থলেও সাফল্য মেলে
বিবাহিত ব্যক্তিদের মাঝে যাদের সঙ্গী বিবেকবান, তারা কর্মস্থলে নানাধরনের সাফল্য লাভ করেন। এটি সম্ভব হয় মূলত তাদের সঙ্গীরে সঙ্গে পরামর্শ ও কর্মস্থল বিষয়ে আলোচনায়। পাঁচ হাজার বিবাহিত মানুষের মাঝে এক গবেষণায় এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়। গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেন্ট লুইসের গবেষকরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন