বুম প্রযুক্তির সুপারসনিক যাত্রীবাহী জেট বিমান আনছেন রিচার্ড ব্র্যানসন
আপনি কি চার ঘন্টারও কময় সময়ে লন্ডন যেতে চান?
ভার্জিন মোগোল স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন পরবর্তী প্রজন্মের কনকর্ড স্টাইলের জেট ইঞ্জিন জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন শিগগিরই। অথবা অন্তত ভ্রমণকারীদেরকে মাত্র ৫ হাজার ডলারের টিকেটে এতে ভ্রমণ করার সুযোগ তৈরি করে দেবেন।
মঙ্গলবার ব্র্যানসন এবং ডেনভার ভিত্তিক বুম প্রযুক্তি একটি সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেটের নতুন একটি প্রোটোটাইপ উম্মুক্ত করেছেন। এই বিমানটি নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনে যাত্রীদের নিয়ে যেতে পারবে মাত্র ৩.৫ ঘন্টায়। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
মঙ্গলবার প্রোটোটাইপটির মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে ব্র্যানসন বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশ সম্বন্ধীয় উদ্ভাবন এবং উচ্চ গতির বাণিজ্যিক ফ্লাইট বিষয়ে প্রগাঢ়ভাবে উৎসাহী ছিলাম।”
“একজন মহাকাশ উদ্ভাবক হিসেবে বুমের সঙ্গে ভার্জিন গ্যালাকটিকের কাজ করার সিদ্ধান্তটিও ছিল সহজ একটি সিদ্ধান্ত। আমরা বুমের প্রথম ১০টি এয়ারফ্রেমের একটি অপশন পেয়ে আমার উত্তেজিত। স্পেস শীপ কম্পানি ভার্জিন গ্যালাকটিকের উৎপাদন শাখার মাধ্যমে আমরা প্রকৌশল এবং উৎপাদন সেবা সরবরাহ করব। এছাড়া আমাদের যৌথ উচ্চাভিলাষ সমূহের মধ্যে রয়েছে, ফ্লাইট টেস্ট সাপোর্ট এবং অভিযান পরিচালনা করা।”
বুমের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ব্লেক স্কলও মূল ধারার আকাশ পরিবহনে সুপার সনিক জেট ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত রয়েছেন।
স্কল বলেন, সুপারসনিক যাত্রীবাহী এই জেটগুলোর ফ্লাইট আগামী বছর দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় শুরু হবে। আর ২০২৩ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে এই জেট বিমানগুলোর ফ্লাইট শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারেও তিনি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী যে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং হালকা উপাদানের ফলে এই ফ্লাইটগুলো কনকর্ড থেকে আলাদাই হবে। কম্পানিটি বিমানগুলোকে হালকা কার্বন ফাইবার কম্পোজিটে নির্মাণ করার পরিকল্পনাও করছে। এর ফলে বিমানটি চলাচলে আওয়াজ কম হবে এবং জ্বালানিও কম খরচ হবে।
এক্সবি-ওয়ান যার ডাক নাম “বেবি বুম” এর গতিবেগ ঘন্টায় ১,৪৫১ মাইল। যা কনকর্ডের আগের সব বিমানের গতির রেকর্ড ভেঙ্গেছে। আর সাধারণ যে কোনো বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমানের চেয়ে এটি ২.৬ গুন বেশি গতিসম্পন্ন।
স্কল বলেন, ৫ হাজার ডলারের টিকেটে বেবি বুম জেটে চড়ে ভ্রমণের খরচ যে কোনো বিমানের বিজনেস শ্রেণির সমান হবে।
বেবি বুমে আসন থাকবে ৫০টি। যেখানে কনকর্ডে আসন ছিল ৯২ থেকে ১২৮টি। বুম বলেছে, তারা প্রাথমিকভাবে লণ্ডন থেকে নিউইয়র্ক, সানফ্রান্সিসকো থেকে টোকিও এবং লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে সিডনিতে এর ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ-ফরাসি সুপারসনিক জেট কম্পানি কনকর্ড বাণিজ্যিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু করেছিল ১৯৭৬ থেকে ২০০৩ সালে।
সূত্র: ফক্স নিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন
মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন
স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন