বুড়িচংয়ে ফয়েজের বাড়ীতে একটি অবিবাহিত মেয়ে থাকা নিয়ে এলাকায় তোলপাড়!
কুমিল্লার বুড়িচং কলেজ গেইটের স’মিল ব্যবসায়ী ফয়েজ আহমেদের বাড়ীতে একটি অবিবাহিত মেয়ে থাকা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৬ মাস ধরে ফয়েজ আহমেদ তার বাড়ীতে মাঝে মাঝে একটি অবিবাহিত মেয়েকে নিয়ে আসতো। এই নিয়ে ফয়েজ আহমেদের পরিবারে কলহ সৃষ্টি হয়েছে। ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয় নি, তাই এ নিয়ে প্রায়ই ফয়েজ আহমেদ এবং তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো।
জানা গেছে, যখনই মেয়েটি আসতো ৬-৭ দিন ফয়েজ আহমেদের বাড়ীতে থাকতো। এই নিয়ে গত মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও মেয়েটির মাঝে তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মেয়েটির রান্না করা খাবার-দাবার ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী সেলিনা বাইরে ফেলে দেয় এবং ওই মেয়েকে বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলে। কিন্তু মেয়েটি যায় নি। মেয়েটির আসা-যাওয়াকে ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী সহ্য করতে পারত না। এই ঘটনা নিয়ে ফয়েজ আহমেদের সাথে স্ত্রী ঝগড়া করলে স্ত্রীকে জ্বীনে আছর করেছে বলে ফয়েজ আহমেদ এলাকায় প্রচার করে। আজ ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর পর্যন্ত মেয়েটি ফয়েজের বাড়িতে আছে,এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
স্খানীয় সুত্র জানায়, ফয়েজ আহমেদ প্রায়ই একটি মেয়েকে তার বাড়ীতে নিয়ে আসত। মেয়েটির আসা-যাওয়া নিয়ে ফয়েজ আহমেদ ও তার স্ত্রীর ঝগড়া লেগেই থাকত। মেয়েটি সম্পর্কে ফয়েজ আহমেদকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোনো সদোত্তর দিতে পারে নাই। তার স্ত্রী অত্যন্ত দৈর্য্যশীল তাই কাউকে কিছু না বলে তার সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করে নিচ্ছে এবং ফয়েজ আহমেদ তাকে পাগল বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
জানা গেছে, ফয়েজের মেয়ে শংকুচাইল যে মাদ্রাসায় পরে মেয়েটি ওই মাদ্রাসার ছাত্রী। গত ১ বছর ধরে ওই মাদ্রাসা তার মেয়েকে পড়াশুনা করানোর জন্য আশা-যাওয়ার সময় ওই মেয়েটির সাথে ফয়েজের পরিচয় হয়। পরিচয় সূত্রেই গত ৬ মাস ধরে কিছুদিন পর পর ওই মেয়েকে তার মেয়ের বান্ধবী পরিচয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসতো। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফয়েজ আহমেদ এর আগেও একটি বিয়ে করেছিল। তার ওই স্ত্রী এক সময় জানতে পারে স্বামী ফয়েজ আহমেদ একটি মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে ফয়েজ আহমেদ ১ম স্ত্রীকে প্রচন্ড মারধর করে পরে স্ত্রী ফয়েজ আহমেদের নামে নারী নির্যাতনের মামলা করে। সম্প্রতি সময়ে ফয়েজ আহমদ নিজেকে হজ¦ এর এজেন্সি পরিচয় দিয়ে ১৫-২০ জন মানুষকে হজ্বে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ করে। কিন্তু কাউকেই তিনি হজ্বে নিতে পারেন নি।
এখন হজ্বের টাকা চাইলে নানা বাহানা দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফয়েজ আহমেদ মানুষের হজ্বের টাকা জমা না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছে। ফয়েজের কাছে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছে এমন কয়েকজন এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং কেউ যেন তার কাছে হজ্বের টাকা জমা দিয়ে আর প্রতারিত না হয় সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
সূত্র জানায়, ফয়েজ আহমেদ একসময় তার পরিবারের ৭জন ওয়ারিশের জমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে অনেকগুলো জাল-জালিয়াতি দলিল করেছিল। পরে বড় ভাই আবুল হোসেনসহ পরিবারের ৭ জন ওয়ারিশ ফয়েজ আহমেদের নামে ১ম যুগ্ম জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। যার মামলা নং- ১৫। বাড়িতে থাকা মেয়েটির বিষয়ে জানতে ফয়েজ আহমেদকে কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশেরবিস্তারিত পড়ুন
টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দেন স্বামী, অতঃপর…
কুমিল্লায় ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলেবিস্তারিত পড়ুন