বেঁচে থেকে আমি মৃত্যুটাকে অনুভব করছি: আব্দুর রাজ্জাক
ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ২৭ জুন ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। সাথে ছিলেন স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
খুলনা থেকে ঢাকা ফেরার পথে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারটি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকায় আসার পর গাড়ির চাকা ফুটো হয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে মারাত্মক আহত হন রাজ্জাকের ছেলে, আহত হন রাজ্জাক ও তার স্ত্রীও।
অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়া রাজ্জাক পুরো ঘটনাটি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না। স্বজনদের কাছে তিনি বলেছেন, এই ঘটনা হলিউড সিনেমাকেও হার মানাবে।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও এর দুঃস্মৃতি ভুলতে পারেননি আব্দুর রাজ্জাক। বরং দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আছেন তিনি। চেহারায় ভর করছে ভীষণ ক্লান্তি, কথাবার্তাও বলছেন খুব ধীরে-ধীরে।
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোর এর সাথে আলাপকালে রাজ্জাক বলেন, ‘চোখ বন্ধ করলেই ভাসছে দুর্ঘটনার সেই স্মৃতি। রাস্তায় যেতে পারছি না, গাড়ি দেখলেই ভয় লাগছে। হার্মস্ট্রিংয়ে যে চোট লেগেছে, সেজন্য ঢাকায় গিয়ে ফিজিওর সাথে দেখা করবো। দেখাবো যে কী অবস্থায় আছি। আমার মনে হয় এই ট্রিটমেন্টটা ঢাকায় করালেই ভালো হবে।’
দুর্ঘটনার ভয়াবহতা প্রকাশ করে রাজ্জাক বলেন, ‘বেঁচে থাকার মতো কোনো অবস্থায় ছিলাম না। বেঁচে থেকে আমি মৃত্যুটাকে অনুভব করছি। আমার মনে হয় না, মানুষের জীবনে এর থেকে বড় কোনো দুঃস্মৃতি থাকতে পারে।’
উল্লেখ্য, রাজ্জাক দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে আছেন। লাল-সবুজের জার্সিতে সবশেষ মাঠে নামেন ২০১৪ সালের আগস্টে। জাতীয় দলে খেলতে না পারলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত আলো ছড়াচ্ছেন এই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। রাজ্জাকের বাড়ি বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার সৈয়দপাড়া গ্রামে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন