বেড়াতে গিয়ে ১০ টিপসে অসুস্থতাকে দুরে সরিয়ে রাখুন
ছুটির আমেজ সামনেই৷ আর ছুটি মানেই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান৷ নিজেকে একটু সতেজ করে আসা৷ ঘুরতে যাওয়ার নামেই যেন অর্ধেক চাঙ্গা হয়ে যায় মানুষ৷ কিন্তু আবার অনেকের মুখ থেকে মুহূর্তের মধ্যেই মিলিয়ে যায় আনন্দের সেই ঝলক৷ তার কারণ হল ভ্রমনের অসুস্থতা৷ অনেকেই আছেন যাঁরা ঘুরতে গেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ বেশিক্ষণ টানা কোনও যানেই শরীরকে সুস্থ রাখতে পারেন না৷ মাথা ঘোরা, বমি, মাথা ঝিমঝিম করা, ঘাম হওয়া, অস্বস্তিবোধ একেবারে নাজেহাল অবস্থা৷ কারও ক্ষেত্রে আবার মুখে অতিরিক্ত লালা তৈরি এবং মাথা ব্যথার লক্ষণও চোখে পড়ে। এই শারীরিক অস্বস্তির কারণ হল শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্যে পরিবর্তন৷ সব মিলে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দই মাটি৷ এই সমস্যা যদি আপনারও থাকে তাহলে নিশ্চই আপনিও ভয় পান ঘুরতে যেতে৷ নতুন জায়গা দেখার ইচ্ছা থাকলেও ভরসা করে আপনি পা বাড়াতে পারেন না? আর ভয় নেই৷ অসুস্থতার ভয়ে ঘরে বসে থাকার দিন এবার শেষ৷ আপনিও এবার নিশ্চিন্তে ঘুরে আসতে পারেন সুস্থ শরীরে৷ তবে তার জন্য আপনাকে মানতে হবে কিছু টিপস৷ দেখা নিন কিভাবে চললে আপনার শরীরে কোনও অসুবিধা হবে না ভ্রমনে৷
১. ভ্রমনের আগে অতিরিক্ত পেট ভরে কিছু খাওয়া উচিৎ নয়। ঝালজাতীয় এবং ভারি খাবার খেলেও সমস্যা বেড়ে যায় অনেকের। অল্প দূরত্বের ভ্রমণে না খেয়ে থাকার চেষ্টা করতে পারেন। আর দূরপাল্লার যাত্রায় অল্প পরিমাণে খাবার ও পানীয় খাওয়া উচিৎ।
২.যাত্রার আগে কড়া সুগন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, এধরনের খাবার খেলে বমি হতে পারে। লোভনীয় গন্ধযুক্ত তৈলাক্ত খাবারের চাইতে ক্র্যাকার্স, শুকনো টোস্ট ইত্যাদি খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩.যাদের এই ধরনের সমস্যা বেশি হয় তাদের যানবাহন যেদিকে চলছে সেটার উল্টা মুখ করে বসা উচিৎ নয়। তাতে সমস্যা আরও বাড়ে৷
৪.গাড়ির পিছনের সিটের পরিবর্তে সামনে সিটে বসার চেষ্টা করুন। গাড়ির বাইরের পরিবেশের উপর চোখ রাখতে পারলে কানের ভেতরের অংশ এবং মস্তিষ্কের মধ্যে সমন্বর রাখা সহজ হবে।
৫.চলন্ত গাড়িতে বসে শারীরিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে দিগন্তের দিকে চোখ রাখতে পারেন। আশপাশের চলন্ত বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকলে শারীরিক ভারসাম্যে অসুবিধা হতে পারে।
৬. চলন্ত গাড়িতে বসে অনেকে নিজেকে অন্যমনস্ক রাখতে বই পড়েন৷ কিন্তু তাতে শরীরে ভারসাম্যের গোলমাল বাড়ে৷ দিক নির্দেশনার প্রয়োজন থাকলে মানচিত্র বা গাড়ির জিপিএস না দেখে ‘ভয়েস কমান্ড’ ব্যবহার করা উচিৎ।
৭. সম্ভব হলে গাড়ির জানালা খুলে বাইরের সতেজ বাতাস গায়ে লাগার সুযোগ দিন। এতে ভ্রমণের অস্বস্তি কিছুটা কমবে। বিমান বা ট্রেনে সফর করার ক্ষেত্রে সিটের উপরের ‘এয়ার ভেন্ট’ ফুল স্পিডে চালু করে রাখতে পারেন। নৌকা বা জাহাজে সফরকালে যতটা সম্ভব ডেকের বাইরে থাকার চেষ্টা করুন।
৮. ভ্রমণে অসুস্থতা আছে এমন যাত্রীদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ভ্রমণে অসুস্থতা নিয়ে আলোচনা করলে বা শুনলে এবং অন্যদের অসুস্থ হতে দেখলেও আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
৯. গাড়ির গতি কম অনুভূত হয় এমন স্থানে বসার চেষ্টা করুন। বিমানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমানের মাঝামাঝি বসাই ভালো। জল পথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে জাহাজ বা লঞ্চের নিচের কেবিনগুলিতে থাকলে উপকার পেতে পারেন।
১০. সফরকালে চোখ বন্ধ করে থাকলে কিংবা ঘুমালে বমিভাব কমে।
১১. যাত্রা শুরুর আগে মাথা ঝিমঝিম করা বা বমির ওষুধ খেলে উপকার পেতে পারেন। ভেষজ চিকিৎসায় বিশ্বাসী হলে যাত্রা শুরুর আগে আদা খেয়ে নিতে পারেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন