বেতন বৈষম্য দূরীকরণ কমিটির বৈঠক রবিবার
অষ্টম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অন্যান্যদের বৈষম্য পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিসভা কমিটি প্রথম বৈঠকে বসবে আগামী রবিবার।
অর্থমন্ত্রণালয়ে দুপুর একটায় এ বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসায় বৈঠক করেন। আগামী রবিবার দুপুর একটায় অর্থমন্ত্রণালয়ে কমিটির প্রথম সভা হবে বলে সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী আবদুল মাল আব্দুল মুহিত বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক।
সন্ধ্যার পর শিক্ষামন্ত্রী তার হেয়ার রোডের বাসায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বলেও জানান জাকির হোসেন।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল উপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো ও অষ্টম বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখাসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। চলতি মাসের (অক্টোবর) মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা রয়েছে শিক্ষক ফেডারেশনের।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে বেতন বৈষম্য নিরসন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। কমিটিতে শিল্পমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী এবং অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
এ কমিটিকে জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনিষ্পন্ন কেইসসমূহ পর্যালোচনা ও বেতন স্কেলে অভিযোগের বিষয়ে প্রাপ্ত অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। অর্থ বিভাগ এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর সামরিক ও বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামোর অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। নতুন বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করে প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধির নতুন পদ্ধতি চালু করার কথা বলা হয়েছে।
বেতন কমিশন ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে পর্যালোচনা কমিটি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের বিষয়টি শোনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুলের শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলনে নামে। তাদের অভিযোগ নিচের দিকে পদোন্নতি কম হয়, এ দুটি বিষয় বাদ দেওয়া হলে নিচের দিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের জন্য বেতন কমিশন গঠনের দাবি তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, নতুন বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড বাদ দিয়ে ও বিশেষ গ্রেড সৃষ্টি করে বেতন-ভাতার দিক থেকে শিক্ষকদের চার ধাপ নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, এতে শিক্ষকদের মর্যাদার নিচে নামবে।
স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়ণ না হওয়া পর্যন্ত ঘোষিত অষ্টম বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে সিনিয়র অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা গ্রেড-১, অধ্যাপকদের গ্রেড-২, সহযোগী অধ্যাপকদের গ্রেড-৩, সহকারী অধ্যাপকদের গ্রেড-৫ ও প্রভাষকদের বেতন কাঠামো সপ্তম গ্রেডে নির্ধারণেরও দাবি জানিয়ে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
শীতে যেসব খাবার খেলে শিশুরা সুস্থ থাকবে
শীতে ঠিক কোন-কোন নিয়ম মেনে চললে সন্তান দ্রুত সেরে উঠবে?বিস্তারিত পড়ুন
বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন বেবী নাজনীন-জয়া
কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পাচ্ছেনবিস্তারিত পড়ুন
বাগেরহাটে চাষ হচ্ছে ‘নেদারল্যান্ডের লিলিয়াম’
দেশের মাটিতে নতুন সংযোজন লিলিয়াম ফুল। এটি শীতপ্রধান দেশের হলেওবিস্তারিত পড়ুন