বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ২২ অক্টোবর থেকে!
এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়েছে গত ২২ শে অক্টোবর থেকে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০০৫-এর পরীক্ষা বিধিমালা সংশোধন করে এস আর ও জারি হয় গত ২২ শে অক্টোবর। শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এস আর ওটি জারির দিন থেকেই কার্যকর এবং ওইদিন থেকেই ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বড়ির শিক্ষক নিয়োগ ক্ষমতা রহিত হয়েছে। এরপরও যদি কেউ নিয়োগ দেন তবে তা অবৈধ হবে এবং এমপিওভুক্ত করা হবে না। এস আর ও প্রকাশের তারিখ ২২ শে অক্টোবর লেখা থাকলেও বাস্তবে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে ৪ঠা নভেম্বর।
এদিকে এসআরও জারির সঙ্গে সঙ্গে পরিপত্র জারি না হওয়ায় নিয়োগ বিষয়ক অনুসরণীয় পদ্ধতিসহ অনেককিছু অস্পষ্ট রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যারা পুরোনো পদ্ধতিতে নিয়োগ দিয়ে শেষবারের মতো ‘আয়’ করতে চেয়েছিলেন তারা চরম হতাশ হয়ে বিরোধিতা শুরু করেছেন।
এ প্রেক্ষাপটে পুরোনো পদ্ধতিতে আর শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা সচিব বৃহস্পতিবার বলেন, “বিধি অনুযায়ী এসআরও জারির দিন থেকেই কার্যকর আর তাই শিক্ষক নিয়োগও আপাতত বন্ধ। তবে, যারা ২১ শে অক্টোবর পর্যন্ত নিয়োগ পেয়েছেন তারা এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। আবার যাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ২২শে অক্টোবরের আগে হয়েছে তারাও পুরোনো পদ্ধতিতে নিয়োগ নিতে পারবেন এবং তাদেরও এমপিওভুক্তিতে কোনও সমস্যা হবে না।” শিক্ষাসচিবের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে আলাপকালে মন্ত্রণালয়ের দুইজন অতিরিক্ত সচিব, একজন যুগ্ম-সচিব ও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বাদশ নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পুরোনো নিবন্ধনধারীদের মেধা তালিকা তৈরি ও এসব বিধান মেনে নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া শুরু করতে আরও কিছুসময় লেগে যাবে। শিক্ষাসচিব বলেন, যতদিন এসব চূড়ান্ত না হয় ততদিন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখা ছাড়া বিকল্প নেই। দ্বাদশ পরীক্ষার ফল প্রকাশে আরও কিছুদিন দেরি হবে।
তিনি বলেন, পুরোনো ও নতুন তালিকার মধ্যে কোন তালিকার প্রার্থী পছন্দ করবেন সেই সিদ্ধান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিতে পারবেন চাহিদা দেওয়ার সময়, তবে নতুন পুরাতন কিছুই উল্লেখ না করলে ধরে নেওয়া হবে তারা নতুন তালিকার শিক্ষক পেতে চান ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্মচারী নিয়োগ পুরোনো পদ্ধতিতেই হবে।
গত ১৪ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঘোষণা দেন একমাসের মধ্যে কমিশন ও এসআরও জারি হবে। এরপর থেকে সারাদেশে নিয়োগের হিড়িক পড়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সারাদেশে বাণিজ্য চলছে বছরের পর বছর। এসব বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়েই নিয়োগবাণিজ্য বন্ধের উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় এসআরও জারির সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের মানুষ অসম্ভব খুশী হয়েছেন। শিক্ষার প্রকৃত সংস্কার হিসেবে এটাকেই ১ নম্বরে স্থান দিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকরা।
নতুন পদ্ধতি চালু করতে সাময়িক কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে তাই এটা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
সচিব বলেন, নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়নে উদ্ভুত সকল সমস্যার সমাধানে পরিপত্রে সংশোধনী আনা হবে যতবার দরকার ততবারই।
এদিকে এসআরওর বিশদ ব্যাখ্যা না জানায় কোনও কোনও জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ব্যাংকে নিয়োগঃ ১৬৬৩ পদে চাকুরী
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ব্যাংকের মধ্যে সাতটি ব্যাংক একযোগে নিয়োগবিস্তারিত পড়ুন
বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর
শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরাধীন এডুকেশনবিস্তারিত পড়ুন
রেডিও জকি (আরজে) পদে নিয়োগ দেবে প্রাণ-আরএফএল।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ রেডিও জকি (আরজে) পদে নিয়োগ দেবে। যোগ্যতা :বিস্তারিত পড়ুন