বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে স্থায়ীত্বশীল ও যুগোপযোগী আইন প্রণয়নে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধে মানববন্ধন
আগামী মাসে অর্থাৎ নভেম্বর ২০১৬ তে মরক্কোয় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘ জলাবায়ু বিষয়ক চুক্তি আলোচনা যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ, বৈশ্বিক সম্প্রদায়গণ,আইন প্রণেতাগণ অংশগ্রহণ করে তাঁদের দাবি উত্থাপন করবেন এবং জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহারকারী শিল্পের অংশগ্রহণকে প্রতিরোধ করানোর জন্য জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। উক্ত আলোচনাকে সামনে রেখে বৈশ্বিক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসাবে সুপ্র এবং Corporate Accountability International ’র যৌথ উদ্যোগে আজ ১৭ অক্টোবর ২০১৬, সোমবার, বেলা ১১.০০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘Corporate Accountability International’ শীর্ষক একটি মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। উক্ত মানববন্ধনে সমমনা সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন। কর্মসূচিতে বিভিন্ন সমমনা সংগঠনের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি (ছাত্র, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী, জলবায়ু অধিকার কর্মীসহ) অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকের এই উদ্যোগটি অক্টোবর মাসের বৈশ্বিক কর্মসূচির একটি অংশ হিসেবে ‘শক্তি পুনরুদ্ধার’ নামে বিবেচিত। ৫০টিরও বেশী দেশ সম্মিলিতভাবে একটি আহবান জানাবে যে, ‘একটি স্থায়ীত্বশীল জ্বালানী পদ্ধতি এবং আইন প্রণয়নে বায়ু দূষণকারীদের অযাযিত প্রভাব বন্ধ করা এবং বহুজাতিক জীবাশ্ব জ্বালানী ব্যবহারকারী কোম্পানীর উপর জলবায়ু নীতিতে বাধা দেয়া’।
সুপ্র’র সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান তাঁর লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে জানান, প্যারিস চুক্তির বদৌলতে শিল্পের হস্তক্ষেপ বন্ধের দার উন্মোচিত হয় এবং সেখানে উন্নয়ন বন্ধ করার বিষয় ব্যতীত কিছুই দাবি করা হয়নি। তাই আমরা যদি বৈশ্বিক উষ্ণতার মাত্রা ১.৫ এর নীচে রাখতে চাই, তখন আমাদের অবশ্যই বেশি তেল এবং নোংরা উত্তোলন বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে।
কর্পোরেট একাউন্টিবিলিটি ইন্টারন্যাশনাল এর পক্ষ থেকে তামার লরেন্স স্যামুয়েল তাঁর লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে জানান যে, ‘‘এটা এখন আগের থেকে পরিস্কার যে, জীবাশ্ব জ্বালানী ব্যবহারকারী শিল্প এবং তাদের স্বার্থ যারা প্রতিনিধিত্ব করছে তাদের সবার একই লক্ষ্য আত্ম-সংরক্ষণ”। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন যে, বড় বায়ু দুষণকারী বিশেষকরে টোবাকো, তাদেরকে অবশ্যই নীতিনির্ধারনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আশা ব্যক্ত করে বলেন, মরক্কোয় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ জলাবায়ু বিষয়ক চুক্তি আলোচনায় বিশ্বের নেতারা এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কাঠামোগত কনভেনশন-এর মধ্য দিয়ে যাতে করে জীবাশ্ব জ্বালানী ব্যবহারকারী শিল্প ও অন্যান্য নোংরা শিল্পর মধ্যে প্রভাব ও দরকষাকষি বন্ধ করানো যায়।
মানববন্ধনে সুপ্র’র পক্ষ থেকে যে দাবিগুলো উত্থাপন করা হয় তা নিন্মরূপ-
১. নতুনকরে নোংরা জ্বালানীর প্রকল্পসমূহ বন্ধ করতে হবে;
২. নোংরা জ্বালানীর পক্ষে পাবলিক বিলিপত্র বন্ধকরতেহবে;
৩. কর্পোরেট ও এলিট শ্রেণীর মাধ্যমে অত্যাধিক জ্বালানীর অপচয় রোধ করতে হবে;
৪. জনগণের মৌলিকচাহিদা মেটাতে সার্বজনীন জ্বালানীর সহজগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে;
৫. গণতান্ত্রিক, দরিদ্রবান্ধব, নবায়নযোগ্য এবং স্বচ্ছ জ্বালানী পদ্ধতি প্রণয়নে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বার্তা প্রেরক
মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, সুপ্র
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন