ঢাকা ও চট্রগ্রাম টেস্টে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশী স্পিনাররা। তরুন মেহেদি হাসান মিরাজ তো একাই নিলেন ১৯ উইকেট। সাকিব আল হাসান নিয়েছেন ১২টি।

মূলত নিজেদের সামর্থ্য বিবেচনা করেই উইকেট বানিয়েছে বাংলাদেশ। উদ্দেশ্য ছিল টেস্ট জয়। এক কথায় সত্যিকারের হোম অ্যাডভান্টেজ নেয়া যাকে বলে।

ক্রিকেট বিশ্বে প্রায় প্রতিটা দেশই নিজেদের ঘরের মাঠের সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজে উইকেট নিয়ে ইংলিশ গ্রেট ইয়ান বোথাম বলেছেন, ‘এটা (ব্যাটিং ধস) ক্রিকেটে ঘটতেই পারে। মিরপুরের উইকেট স্পিনসহায়ক। স্বাগতিকরা এভাবেই বানিয়েছে। যখন দেখবেন নতুন বলে স্পিনার দিয়ে ওভারের শুরুটা হয় তখন আপনাকে বুঝতে হবে যে কী ঘটতে যাচ্ছে। এটা (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়) বাংলাদেশের জন্য ভালো। কিন্তু তাদের বিদেশের মাটিতেও জয় পাওয়াটা শুরু করতে হবে।

আমার মতে, বাংলাদেশ সফর ছিল ইংল্যান্ডের জন্য কঠিন পরীক্ষা। তবে দিন শেষে এটা বলতে হয় যে, ইংল্যান্ডের আসল পরীক্ষা হবে ভারতের বিপক্ষে।’

বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের উইকেটে সন্তুষ্ট ছিলেন না এই গ্রেট অলরাউন্ডার। কিন্তু বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বিষয়টিকে দেখছেন ভিন্ন ভাবে।

৮০’র দশকের ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৯০’র শেষে এসে অস্ট্রেলিয়া ও সম্প্রতি গ্রাহাম স্মিথের দক্ষিন আফ্রিকা ছাড়া কোন দলই ঘরের বাইরে খুব একটা ভালো পারফর্ম করতে পারেনি।

এমন আভাস দিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটেই খুব বেশি দেশ নেই, যারা দেশের বাইরে গিয়ে খুব বেশি ভালো করেছে। বিশেষ করে এখনকার ক্রিকেটে। এটা নিয়ে এত বেশি মাথা ঘামানোর কিছু আছে বলে মনে করি না। বোথামের মনে হয়েছে, তাই বোথাম বলেছেন।’