শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বোমা মিজানের পর ‘বোমা শাকিল’

জঙ্গি মিজান ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান (৩৬)। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা ও বিস্ফোরক তৈরির প্রধান কারিগর ছিলেন। কোথাও অভিযান হলেই মিজানের নাম উঠে আসত। ২০০৮ সালে মিরপুরের পাইকপাড়া থেকে গ্রেফতার হন ‘বোমা মিজান’। বেশ কয়েক বছর কারাভোগের পর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহে প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে জেএমবির দুর্ধর্ষ এই নেতাসহ তিনজনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর এখন জেএমবিতে বোমা মিজানের ‘শূন্যস্থান’ পূরণ হয়েছে। বর্তমানে জেএমবির গ্রেনেড ও বোমা তৈরির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোস্তাক ওরফে শাকিল (২৬)। তার গ্রামের বাড়ির বগুড়ার শাজাহানপুরে। স্থানীয় একটি পলিটেকনিক্যালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন শাকিল।

সাত বছর আগে তিনি জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১২ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মিজানের প্রকাশ্য অনুপস্থিতিতে শাকিল জেএমবির গ্রেনেড ও বোমা তৈরির প্রধান কারিগর হয়ে ওঠেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দক্ষতায় ‘বোমা মিজান’কে ছাড়িয়ে গেছেন ‘বোমা শাকিল’। এখন শাকিল গুলি থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বোমা তৈরির চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে শাকিল জেএমবির ৫-৬ জন সদস্যকে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে জেএমবির একটি আস্তানায় অভিযানের সময় শাকিল ও সোহেল রানা ওরফে হিরন ওরফে কামাল পালিয়ে যান। আস্তানা ঘিরে মূল অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে বাড়িটি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘেরাও করে রাখার পরও শীর্ষ দুই জঙ্গি কীভাবে পালাল এমন প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের। পলাতক দু’জনকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। এ ছাড়া মিরপুরের অভিযানে গ্রেফতার তিন জেএমবি সদস্যকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেএমবির দুটি গ্রুপের কাছে এখন অন্তত ২৪টি অত্যাধুনিক একে-২২ রাইফেল রয়েছে। জেএমবির একটি গ্রুপ মাওলানা সাইদুর রহমানপন্থি। আরেকটি মাওলানা সাইদুর রহমানবিরোধী। এ ছাড়া মোবাইল জ্যামার, গ্রেনেড তৈরির জেল ও ডেটনেটর জেএমবির কাছে আছে। জেএমবির কাছে অত্যাধুনিক অনেক অস্ত্র ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম চলে যাওয়ায় চিন্তিত গোয়েন্দারাও।

এদিকে গোয়েন্দারা বলছেন, রাজশাহীতে গত শুক্রবার মসজিদে বোমা হামলার পর আইএসের নাম ব্যবহার করে যে টুইটবার্তা দেওয়া হয়, তা মিরপুর থেকেই। আর ঢাকার বাইরে থেকে কেনা হয়েছিল মোবাইল সিমকার্ড।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) এডিসি ছানোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে জেএমবির গ্রেনেড ও বোমা তৈরির প্রধান কারিগর শাকিল। সে অত্যন্ত দক্ষ হাতে এসব তৈরি করছে। বোমা মিজানের মতো শাকিলও জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ডিবির সহকারী কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী সমকালকে বলেন, বোমা শাকিল ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, শাকিল বর্তমানে জেএমবির তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা। শাকিল ছাড়াও জেএমবির আরও একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বোমা তৈরির কারিগর ছিলেন। সম্প্রতি ওই নেতা চট্টগ্রামে রহস্যজনক ‘বোমা বিস্ফোরণে’ নিহত হন। গোয়েন্দারা বলছেন, মিরপুরের শাহ আলীর বাসায় গ্রেনেড ও বোমা তৈরি করতেন শাকিল। এ ছাড়া চট্টগ্রামে জেএমবির যেসব সদস্যকে অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে শাকিলসহ মিরপুর থেকে গ্রেফতার অন্য জেএমবি সদস্যদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। পরস্পরের বাসায় তাদের যাতায়াতও ছিল।

একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে জেএমবির বড় দুটি আস্তানার সন্ধানও পাওয়া গেছে। তবে একই ধরনের আস্তানা আরও থাকতে পারে। পৌরসভা নির্বাচনের পর দেশে জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় চিহ্নিত কিছু এলাকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

একদিন আগে আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পরও পালাল দু’জন: মিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ বলেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মিরপুরের শাহ আলী এলাকার ‘এ’ ব্লকে গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু হয়। এর পর জানা যায়, ওই ব্লকের ৯ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাসার ছয়তলার দক্ষিণ পাশের ফ্ল্যাটে বিপুলসংখ্যক গ্রেনেড, আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে। পর দিন বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ২০ মিনিটে ডিবির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্য, শাহ আলী থানা পুলিশ ও রিজার্ভ পুলিশের সদস্যরা ওই বাড়ি চারদিক থেকে ঘেরাও করে। সোয়াত টিমের সদস্য ও পুলিশ কর্মকর্তারা ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভবনটির ওপরে উঠে এবং পর্যায়ক্রমে সব ভাড়াটিয়া ও লোকজন নিরাপদে সরিয়ে নেয়।

এর পর জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেন পুলিশ সদস্যরা। আতঙ্ক সৃষ্টি করতে জঙ্গিরা নিজেদের হেফাজতে থাকা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। গ্রেফতার তিন জঙ্গি পুলিশকে জানায়, আশুলিয়ায় চেকপোস্টে পুলিশ হত্যার প্রধান আসামি সোহেল রানা ও জেএমবির ঢাকা অঞ্চলের সামরিক শাখার সেকেন্ড ইন কমান্ড শাকিল ওই ভবন থেকে ভাড়াটিয়া ও লোকজনকে সরানোর সময় কৌশলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার প্রশ্ন, মূল অভিযানের একদিন আগেই মিরপুরে জেএমবির বড় ধরনের এই আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পরও কীভাবে পালাল শীর্ষ দুই জঙ্গিনেতা? স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ‘এ’ ব্লকের ওই বাসার আশপাশে অবস্থান নেয়।

জঙ্গি আস্তানার তথ্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর তারা কেন দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টা পর মূল অভিযান শুরু করল? তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তার দাবি, রক্তপাতহীন অভিযান চালিয়ে জেএমবির সদস্যদের গ্রেফতার করতে তারা নানা কৌশল নেন। অত্যন্ত চতুর দুই জেএমবি সদস্য ফাঁকি দিয়ে ভাড়াটিয়া সেজে পালিয়েছে। তবে গ্রেফতারে চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের পলাতক নেতাদের গ্রেফতার করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রায় দু’বছর পার হলেও গ্রেফতার করা যায়নি প্রিজনভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জেএমবি নেতাকে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন

  • ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
  • ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
  • অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার সময় ওএসডি হওয়া যুগ্ম সচিব আটক
  • সারজিস আলম: দেশের সিস্টেমগুলোতে ক্যান্সার ধরেছে
  • জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
  • নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
  • হত্যাকাণ্ডসহ সব অনভিপ্রেত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬
  • বিমানের লাগেজ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
  • মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড
  • বেনজীরের ঢাবি’র পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব
  • মতিউর গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে দেশেই আছেন