বোলারদের দাপটে লক্ষ্য নাগালে পাকিস্তানের
ভারতের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়া পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে দারুণ উন্নতি করেছে সরফরাজ আহমেদের দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রেখেছেন হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিমরা। টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের জন্য তাদের ২২০ চাই রান।
থিতু হয়ে ফিরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এলেই যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এবার অবস্থা আরও বেশি খারাপ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ রানে আউট হওয়ার পর পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম গোল্ডেন ডাকের স্বাদ। নিজের সবচেয়ে মন্থর অর্ধশতকে দলকে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দিয়েছেন ডেভিড মিলার।
এজবাস্টনে বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২১৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
খরুচে ওয়াহাব রিয়াজের জায়গায় জুনায়েদ ফেরায় আরও ধার বেড়েছে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের। মোহাম্মদ আমির ও জুনায়েদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে শুরু রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলাকে।
নবম ওভারে আক্রমণে এসেই ভীষণ প্রয়োজনীয় ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেন ইমাদ ওয়াসিম। আমলাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
বোলার মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে ‘লম্বা’ আলোচনার পর রিভিউ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সরফরাজ। নিলে ২৯ রানেই ফিরতে হত ডি কককে। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ‘জীবন’ কাজে লাগাতে পারেননি। হাফিজের পরের ওভারেই বিদায় নেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
সেই ২০০৭ সালে পাঁচবার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। এরপর ব্যাপারটি ভুলতে বসেছিলেন বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আর ওয়ানডতে রানের খাতা খোলার আগে ফেরেননি। এবার ওয়াসিম তাকে ফেরালেন প্রথম বলেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং গভীরতা যথেষ্ট। ৬১ রানের মধ্যে আমলা, ডি কক, ডি ভিলিয়ার্সকে হারালেই বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার সামর্থ্য অন্য ব্যাটসম্যানদের ছিল। সেই কাজটি অসম্ভব করে তুলেন তরুণ পেসার হাসান।
তার তিন উইকেটের প্রথমটি অবশ্য সাদামাটা বলে। অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে বোল্ড ফাফ দু প্লেসি। চমৎকার দুই বলে ডানহাতি পেসার ফেরান জেপি দুমিনি ও ওয়েন পার্নেলকে।
পরের ওভারে মিলার ঠেকিয়ে দেন হাসানের হ্যাটট্রিক। মারকুটে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সেই ওভারটি খেলেন মেডেন। ২৯ ওভারে ১১৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলটিকে মোটামুটি একটি পুঁজি দিতে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন তিনি।
মরিসকে খানিকটা সঙ্গ দেওয়া ক্রিস মরিস আর কাগিসো রাবাদাকে ফেরান জুনায়েদ। মরিসের সঙ্গে ৪৭ আর রাবাদার সঙ্গে ৪৮ রানের দুটি জুটিতে দলের সংগ্রহ দুইশ পার করেন মিলার।
৮৩ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া মিলার শেষ পর্যন্ত তিনটি ছক্কায় ১০৪ বলে অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে। তার একমাত্র চার আসে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শেষ বলে।
২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার হাসান। দুটি করে উইকেট নেন ওয়াসিম ও জুনায়েদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ২১৯/৮ (ডি কক ৩৩, আমলা ১৬, দু প্লেসি ২৬, ডি ভিলিয়ার্স ০, মিলার ৭৫*, দুমিনি ৮, পার্নেল ০, মরিস ২৮, রাবাদা ২৬, মর্কেল০*; আমির ০/৫০, জুনায়েদ ২/৫৩, ওয়াসিম ২/২০, হাফিজ ১/৫১, হাসান ৩/২৪, শাদাব ০/২০)
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন