বোলিংয়ে আরো কৌশলী হবেন মিরাজ
অনূর্ধ্ব ১৯ দলে থাকার সময় থেকেই নিজেকে প্রমাণ করে আসছেন তরুণ টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। গত অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন তিনি। আর এরই সুবাদে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারও নির্বাচিত হন মিরাজ।
আর বিশ্বকাপের অলরাউন্ড পারফর্মেন্সই তাঁকে খুলে দেয় জাতীয় দলের দুয়ার। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিতেও ভুল করেননি ১৯ বছর বয়সী এই অফ স্পিন অলরাউন্ডার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে অভিষেক টেস্টে বল হাতে শিকার করেছিলেন ৭ উইকেট। এরপরের টেস্টে আরও উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। ঢাকা টেস্টে ইংলিশদের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে একাই নেন ১২ টি উইকেট।
বল হাতে এরূপ অতিমানবীয় পারফর্মেন্সের সুবাদে মিরাজ যে টেস্টের দলে অটোম্যাটিক চয়েজে পরিণত হবেন সেটি বলাই বাহুল্য। তবে টেস্টের সাদা পোশাকে নিজের জায়গা অনেকটাই পাকাপোক্ত করে নিলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষাতে ছিলেন মিরাজ।
এবার সেটিও হয়ে গেলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজে। শনিবার ডাম্বুলায় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মিরাজকে অভিষেকের ক্যাপ তুলে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পেলেও বল হাতে যথারীতি নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন তরুণ এই প্রতিভাবান টাইগার ক্রিকেটার। ১০ ওভার বোলিং করে এদিন ৪৩ রানে কুশল মেন্ডিস এবং দীনেশ চান্ডিমালের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দুইটি শিকার করেন মিরাজ।
আর তাঁর দল এদিন পায় ৯০ রানের বিশাল এক জয়। বোলিংয়ে ধারাবাহিকভাবে উইকেট পেলেও বল হাতে আরও উন্নতি করতে চান ১৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। বোলিংকে আরও ক্ষুরধার করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে রবিবার সাংবাদিকদের মিরাজ বলেন,
‘আসলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কঠিন। এখানে কিন্তু টিকে থাকতে হলে দিন দিন উন্নতি করতে হবে। কারণ প্রতিপক্ষ আমাকে নিয়ে গবেষণা করে। সুতরাং একই জায়গায় থেমে থাকলে হবে না। যেটা বলবো যে, অনেক কষ্ট করতে হবে।
টেস্টের সাদা পোশাকে অভিষেক হওয়ার পর মিরাজ অধীর অপেক্ষায় ছিলেন ওয়ানডে ক্যাপ মাথায় পরার। গত নিউজিল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডেতে অভিষেকের প্রত্যাশা করলেও শেষ পর্যন্ত আর তা হয়নি।
লঙ্কানদের বিপক্ষেও আশাহত হয়েছিলেন যখন তাঁকে টেস্ট সিরিজের পর দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হলো। তবে শেষ পর্যন্ত হঠাৎই আবার তাকে ডেকে পাঠানো হলো ওয়ানডে সিরিজের জন্য। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কায় অভিষেকও হয়ে গেলো তাঁর।
সাংবাদিকদের মিরাজ জানালেন তাঁর এই স্বপ্নের অভিষেকের অনুভূতির কথা। বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে। কারণ আমার অনেক ইচ্ছে ছিলো ওয়ানডে খেলার। টেস্ট অভিষেকের পরই ওয়ানডের কথা চিন্তা করছিলাম। আল্লাহর রহমতে অভিষেক হয়ে গেলো। ’
ওয়ানডে দলে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছিলো মিরাজের। সেটি অবশ্য করেও দেখিয়েছেন তিনি। তবে এর থেকেও তাঁর কাছে বড় দলের জয়। এই প্রসঙ্গে মিরাজের বক্তব্য,
‘বোর্ড প্রেসিডেন্ট যখন আমাকে বললেন, শ্রীলঙ্কা যেতে হবে, ওয়ানডে খেলতে। তখনই চিন্তা করেছিলাম, ওয়ানডে দলে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। আল্লাহর রহমতে ওয়ানডে অভিষেকটা ভালো হলো। সবচেয়ে বড় কথা- দল জিতেছে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ’
টেস্টের সাথে ওয়ানডে অভিষেকের তুলনাও করলেন মিরাজ। জানালেন দুই ফরম্যাটের অভিষেকই স্বপ্নের মতো হয়েছে। অবশ্য একদিক থেকে টেস্টের থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটকেই এগিয়ে রেখেছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর অভিষেকের ম্যাচে পরাজিত হয়েছিলো বাংলাদেশ। অন্যদিকে ওয়ানডে অভিষেকের জয়ের দেখা পেলো তাঁর দল। এই নিয়ে মিরাজ অনেকটাই উৎফুল্ল। বললেন,
‘আসলে দুটাই স্বপ্নের মতো হয়েছে। টেস্টে অভিষেক হয়েছে পাঁচ উইকেট নিয়ে; কিন্তু ম্যাচটা আমরা জিতিনি। তবে ওয়ানডেতে জিতেছি। আমার কাছে মনে হয়, ওয়ানডে অভিষেকটা অনেক ভালো হয়েছে। যে রকম চেয়েছিলাম, টেস্ট ও ওয়ানডে; দুই অভিষেকই তেমন হয়েছে। এখন এটা ধরে রাখতে হবে। ’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন