ব্যবসায়ীরা ঈদে চামড়া ব্যবসা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায়
ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া ২০ কোটি টাকা না পাওয়ায় আসন্ন কোরবানির ঈদে চামড়া ব্যবসা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চামড়া ব্যবসায়ীরা।
মূলত আন্তর্জাতিক চামড়ার বাজারে মন্দা পরিস্থিতির কথা বলে ব্যবসায়ীদের ৫০ শতাংশ টাকা বকেয়া রাখে ট্যানারি মালিকেরা। এ অবস্থায় আশ্বাস অনুযায়ী শেষ মুহূর্তে বকেয়া টাকা না পেলে চামড়ার দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে চামড়া ব্যবসায়ীদের।
দেশের চামড়া শিল্পে কাঁচামাল সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরণের ভূমিকা রেখে আসছে চট্টগ্রাম। বিশেষ করে কোরবানির পশুর অন্তত তিন থেকে চার লাখ চামড়া যায় এখান থেকে।
গত বছর চট্টগ্রাম থেকে কোরবানির ঈদে রেকর্ড পরিমাণ ৪ লাখ ৮০ হাজার চামড়া সংগৃহীত হয়। কিন্তু এখানে ট্যানারি কারখানা না থাকায় সব চামড়া পাঠিয়ে দিতে হয় ঢাকার হাজারীবাগে। আর এ লেনদেন চলে অনেকটা বাকিতে। ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও গত বছরের বাকি টাকা পায়নি চট্টগ্রামের চামড়া ব্যবসায়ীরা।
এ সম্পর্কে চট্টগ্রাম চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার সমিতির উপদেষ্টা মোহাম্মদ মুসলিম বলেন, ‘গত বছরের চামড়া বিক্রির অর্ধেক টাকাই এখনো পাইনি আমরা।’ আর, গত বছরের বকেয়া না পাওয়ায় বেশ অসুবিধায় ভুগছেন বলে জানান চট্টগ্রাম চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার সমিতির সদস্য ফজলুল কাদের চৌধুরী।’
আর এক মাস পরই কোরবানির ঈদ। কাঁচা চামড়া সংগ্রহের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এখানকার ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বকেয়া টাকা হাতে না আসায় শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন তারা।
চট্টগ্রাম চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার সমিতির সভাপতি সেকান্দার মিয়া বলেন, ‘চামড়া বিক্রির টাকা না পেলে আমরা লোকসানের মধ্যে পড়ে যাবো। বকেয়া টাকা পেলে এ বছর ঈদে লাভজনক ব্যবসা করতে আশাবাদী আমরা। অন্যথায় ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা করছি।’চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে চামড়ার ছোট-বড় অন্তত ২’শ আড়ত।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন