সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ, চিকিৎসা কী?

আজ ৮ জুন, বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে জার্মান ব্রেইন টিউমার অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি দাতব্য সংস্থা গঠিত হয়। ২০০০ সাল থেকে এই সংস্থার উদ্যোগে পালিত হয়ে আসছে  ব্রেইন টিউমার দিবস।

ব্রেইন টিউমারের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। দিবসটি পালনের লক্ষ্য হলো এই রোগ সম্পর্কে মানুষকে জানানো, আক্রান্তদের প্রতি সহানুভূতি গড়ে তোলা, প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করে তোলা।

ব্রেইন টিউমার কী?

মস্তিষ্কের কোষের টিউমার হলো ব্রেইন টিউমার। যখন মস্তিষ্কের কোনো বিশেষ অঞ্চলের কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ে, তখন তাকে ব্রেইন টিউমার বলে। ব্রেইন টিউমার দুই রকমের হতে পারে— বিনাইন বা শিষ্ট টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট বা দুষ্টু টিউমার।

যেকোনো বয়সেই ব্রেইন টিউমার হতে পারে। কিছু টিউমারের সূত্রপাত হয় মস্তিষ্কেই। এদের বলে প্রাইমারি ব্রেইন টিউমার।

কিছু ব্রেইন টিউমারের সূত্রপাত হয় শরীরের অন্য কোনো স্থানের টিউমার থেকে। এদের বলে সেকেন্ডারি বা মেটাস্টাটিক ব্রেইন টিউমার।

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ

  • দীর্ঘ মেয়াদে মাথাব্যথা
  • খিঁচুনি হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
  • বমির ভাব বা বমি হওয়া
  • দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া
  • কথা জড়িয়ে যাওয়া, কথা বলতে অসুবিধা
  • আচরণগত পরিবর্তন ইত্যাদি

লক্ষণগুলো নির্ভর করে মস্তিষ্কের কোন অংশ আক্রান্ত হয়েছে তার ওপর।

রোগ নির্ণয়

ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে যথাসম্ভব দ্রুত নিউরোমেডিসিন বা নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রোগ নির্ণয়ে নিচের পরীক্ষাগুলো সহায়ক :

— ব্রেনের সিটিস্ক্যান ও এমআরআই

— স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা দেখার জন্য ইলেকট্রো এনকেফালোগ্রাফি বা ইইজি।

— স্নায়ুতন্ত্রের পরিবহন ক্ষমতা বা নার্ভ কন্ডাকশন টেস্ট বা ইলেকট্রোমায়োগ্রাফি।

— সিটি গাইডেড এফএনএসি

চিকিৎসা

চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের ধরন, তীব্রতা, আকার ও অবস্থানের ওপর। সার্জারি, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি হলো এর মূল চিকিৎসা। লক্ষণের ওপর ভিত্তি করে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। যেমন : খিঁচুনি বন্ধ করার ওষুধ, বমির ওষুধ ইত্যাদি।

ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা দুরূহ। তাই দরকার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। চিকিৎসার জন্য ফান্ড গড়ে তোলা, পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করা, আক্রান্তদের  মানসিকভাবে শক্তি জোগানো, সুস্থদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব।

লেখক : আবাসিক চিকিৎসক, বিএসএমএমইউ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন

কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন

জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন

  • ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
  • কোন খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহজ করবে : খাদ্য সচিব
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বিশ্বের শক্তিশালী এমআরআই মেশিনে মস্তিষ্কের প্রথম চিত্র প্রকাশ
  • H5N1 ভাইরাস ছড়াচ্ছে, কোভিডের চাইতে 100 গুণ বেশি বিপজ্জনক
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?