ব্রেকে চাপ দিতে গিয়ে একসেলেটরে চাপ!
‘অ্যাম্বুলেন্সের চালক সোহেলকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। সোহেলের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ব্রেকে চাপ দিতে গিয়ে একসেলেটরে চাপ দিয়ে দেয় সে। তার মানে হলো গাড়ি চালানোর কোনো আইডিয়া নেই তার। পুলিশকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে।’
বলছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স চাপা দিলে ঘটনাস্থলে শিশুসহ দুজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে আহতদের একজন গুলেনুর বেগম মারা যান। সকালে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় গুলেনুরের সাত বছর বয়সী ছেলে সাকিব। অসুস্থ সাকিবের চিকিৎসার জন্য বাবা ফেরদৌস মিয়া সপরিবারে হাসপাতালে এসেছিলেন। ফেরদৌস মিয়া ও তাঁর অন্য ছেলে বেঁচে গেলেও চিরতরে চলে গেছেন গুলেনুর ও সাকিব।
একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা সূর্য বেগম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন খান জানান, দুর্ঘটনায় আঘাতের কারণে সূর্য বেগমের শিশুটি নষ্ট হয়ে গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতালে কর্মরত গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক কর্মকর্তা জানান, দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতরা পুলিশ ক্যাম্পের পাশে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। কেউ রিকশা ভাড়া দিচ্ছিল। এমন সময় একটি খালি অ্যাম্বুলেন্স তাদের পেছন দিয়ে আসে। এরপর দেখা যায়, সরাসরি তাদের ওপর উঠিয়ে দেয়। অ্যাম্বুলেন্সের নিচে চাপা পড়ে তিনজন। ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে অন্যরা।
বেসরকারি ওই অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিলেন সোহেল। আটক সোহেল জানান, অ্যাম্বুলেন্সটির মালিক হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মাহফুজ।
সোহেল আরো জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭০টি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স আছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন