‘ব্রেন ডেড’ মায়ের গর্ভে জন্ম নিল জমজ সন্তান
এ যেন কল্পকাহিনী। নয় সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় ব্রাজিলের তরুণী ফ্রাঙ্কলিন ডি’সিলভা জাম্পোলি পাডিলহা আক্রান্ত হয়েছিলেন সেরিব্রাল হ্যামারেজের। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টায় ১২৩ দিন ধরে মায়ের গর্ভেই বাঁচিয়ে রাখা হয় জমজ সন্তানকে। সাত মাসের শিশু দুটি নিরাপদে পৃথিবীর আলোয় আনার পর অবশেষে দান করে দেওয়া হয়েছে মায়ের কিডনি আর হৃৎপিন্ড।
ডেইলি মেইলের খবরে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালে অক্টোবরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মস্তিষ্কের মৃত্যু হয় ২১ বছর বয়সী ফ্রাঙ্কলিনের। সেসময় গর্ভে থাকা জমজ সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তায় অধীর হয়ে পড়েন তার স্বামী মুরিয়েল পাডিলহা। চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখতে।
চিকিৎসক ডালটন রিভাবেমের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসকের নিবিড় পরিচর্যায় ১২৩ দিন পর্যন্ত শুশ্রুষা চলে ফ্রাঙ্কলিনের। বিশেষ প্রক্রিয়ায় শিশুদের সরবরাহ করা হয় খাবার ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি। পরে ফেব্রুয়ারি মাসে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বের করা হয় শিশু দুটিকে। পরে দুই মাসের চিকিৎসার পর মে মাসে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে যায় শিশু দুটি। ওই দম্পত্তির দুই বছর বয়সী আরও একটি মেয়ে রয়েছে।
ফ্রাঙ্কলিন ও মুরিয়েল দম্পত্তি
ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরিয়েল জানিয়েছেন ফ্রাঙ্কলিনের শেষ মুহুর্তের কথা। তিনি বলেন, ‘আমি তখন বাগানে কাজ করছিলাম। ফ্রাঙ্কলিন ফোন করে জানায় প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে তার। ঘরে ফিরে দেখতে পান যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে বমি করে চলেছে সে। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে পৌঁছানের তিন পর জানানো হয় মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে তার।’
পরে আলট্রাসউন্ডে ভ্রুনদুটির বেঁচে থাকার অবিশ্বাস্য দৃশ্য দেখে তাদের বাঁচিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন