বয়সে ২১ বছর বড় অভিনেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য আফশোস করেন মাধুরী। জেনে নিন কেন
‘দয়াবান’-এ মাধুরীকে একটি বোল্ড সিনে অভিনয় করতে হয়েছিল অভিনেতা বিনোদ খন্নার সঙ্গে। আসুন, মাধুরীর ৫০-তম জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক ‘দয়াবান’ সংক্রান্ত বিতর্কটিকে।
১৫ মে ২০১৭-এ বলিউড সুন্দরী মাধুরী দীক্ষিত ৫০ বছরে পা দিলেন। এখনও তাঁর সৌন্দর্য অতুলনীয়। তাঁর অভিনয়জীবনে হিট সিনেমা এবং উল্লেখযোগ্য চরিত্রের অভাব নেই। কিন্তু অভিনয়ের জন্য প্রশংসা যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনই কখনও কখনও সমালোচনার শিকারও হতে হয়েছে মাধুরীকে। বিতর্কেরও কেন্দ্রবিন্দু হয়েছেন কোনও কোনও ক্ষেত্রে। সেই রকমই এক বিতর্ক দানা বেঁধেছিল ১৯৮৮ সালের সিনেমা ‘দয়াবান’-এর একটি দৃশ্যকে কেন্দ্র করে। ‘দয়াবান’-এ মাধুরীকে একটি শয্যাদৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছিল অভিনেতা বিনোদ খন্নার সঙ্গে। আসুন, মাধুরীর ৫০-তম জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক ‘দয়াবান’ সংক্রান্ত বিতর্কটিকে।
ফিরোজ খান পরিচালিত ‘দয়াবান’ আদপে ছিল তামিল ছবি ‘নায়কন’-এর হিন্দি ভার্সন। বিনোদ খন্না নায়ক শক্তি ভেলু ওরফে দয়াবানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। মাধুরী ছিলেন দয়াবানের স্ত্রী নীলুর ভূমিকায়। ফিল্মের একটি শয্যাদৃশ্যে উন্মোচিত হয়েছিল ভেলু এবং নীলুর নিবিড় ভালবাসার মুহূর্ত। পর্দায় চুম্বনে চুম্বনে মিশে গিয়েছিল বিনোদ এবং মাধুরীর দু’জোড়া ঠোঁট। নেপথ্যে তখন পঙ্কজ উদাসের কণ্ঠে বেজে চলেছে গান ‘আজ ফির তুমপে পেয়ার আয়া হ্যায়…’।
সিনেমা রিলিজের পরে গানটি যেমন বিখ্যাত হয়, তেমনই আলোচনার ঝড় ওঠে বিনোদ-মাধুরীর ঘনিষ্ঠতার দৃশ্যটিকে কেন্দ্র করে। তার মধ্যে সবটাই সদর্থক আলোচনা ছিল না। অনেকেই দৃশ্যটিকে অশালীনতার অভিযোগে বিদ্ধ করেছিলেন। আসলে, এই ফিল্মে অভিনয়ের সময়ে বিনোদ খন্নার বয়স ছিল ৪২। আর মাধুরী ছিলেন ২১ বছরের যুবতী। নিজের দ্বিগুণ বয়সের একজন পুরুষের সঙ্গে মাধুরী কী ভাবে ক্যামেরার সামনে এমন ঘনিষ্ঠ হতে পারলেন— এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।
এমনকী, মাধুরী নিজেও পরবর্তী কালে এই দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য অনেকবার আফশোস করেছেন। ১৯৯৩ সালে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মাধুরী বলেন, ‘‘দয়াবান’-এর চুম্বন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য এখনও আমার অনুশোচনা হয়। কিন্তু তখন আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারেই নতুন। কোনও দৃশ্যের ব্যাপারে পরিচালককে ‘না’ বলার মতো স্পর্ধা তখনও আমার ছিল না।’ ২০১১ সালে আর এক সাক্ষাৎকারে আবার এই দৃশ্যের প্রসঙ্গ তুলে মাধুরী বলেন, ‘সিনেমাটা (‘দয়াবান’) আমি যত বার দেখি, তত বার আমি অবাক হয়ে ভাবি, কেন আমি ওই চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেছিলাম। ফিল্মে তো ওই দৃশ্যটির কোনও আবশ্যকতাই ছিল না। দৃশ্যটিতে অভিনয়ের পর-পরই আমি স্থির করে নিই যে, আর ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও দৃশ্যে আমি অভিনয় করব না।’
‘দয়াবান’ রিলিজের পরে প্রায় ৩০ বছর কেটে গিয়েছে। কিছু দিন আগে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন অভিনেতা বিনোদ খন্নাও। কিন্তু ‘দয়াবান’-এর চুম্বন দৃশ্যটির স্মৃতি এখনও হিন্দি সিনেমার দর্শকদের মন থেকে ম্লান হয়ে যায়নি। সম্ভবত সেই স্মৃতি ম্লান হয়নি খোদ মাধুরীর মন থেকেও।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন