বয়স ধরে রাখতে মুখমন্ডলের ব্যায়াম
মুখমন্ডলের কিছু ব্যায়াম face exercise আপনার চেহারায় বয়সী ভাব কমাতে সাহায্য করে। এটা সুনিশ্চিত একটি প্রক্রিয়া এবং যুগ যুগ ধরে সবচেয়ে কার্যকরী একটি প্রক্রিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ঘরে বসে যেকেউ সহজেই এটা করতে পারে। এই ব্যায়াম ত্বকের নিচের পেশিগুলোকে সচল রাখতে সাহায্য করে যার ফলে চামড়া কুঁচকে যায় না বা ঝুলে পড়ে না।আজকেই এই ব্যায়ামের কিছু প্রয়োগ করুন আপনার কপাল, ঠোট, চোখ ও ভ্রুতে এবং যাচাই করে দেখুন এর সুফল।
কপাল:
ভাজমুক্ত টানটান কপাল আপনাকে দীর্ঘদিন তেজি রাখবে। এই ব্যায়ামের জন্য দুহাতের তর্জনী আপনার চোখের ঠিক উপরের অংশে রাখুন। এবার ধীরে ধীরে ভ্রু উপরে তলার চেষ্টা করুন। আপনি ভ্রু জোড়া উপরের দিকে টেনে তুলুন এবং নিম্নমুখী যে ত্বক তাকে নিচের দিকে টেনে রাখুন। আপনার কপালকে সুন্দর ও বয়সের ছাপমুক্ত রাখতে এই ব্যায়াম প্রতিদিন ১০ বার করার চেচ্টা করুন।
ঠোঁট:
ঠোঁটের চারপাশের রিংকেলস আমরা যে বুড়িয়ে যাচ্ছি তার অন্যতম নিদর্শন। কিন্তু এর প্রতিকার সম্ভব। এই ব্যায়াম করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার হাত ও হাতের আঙ্গুল ভালোভাবে ধোয়া আছে কিনা। এবার একটি আঙ্গুল দুই ঠোঁটের মাঝে রাখুন এবং ঠোঁট বন্ধ করুন। যতটুকু জোর দিয়ে সম্ভব আঙ্গুলটি চুসতে থাকুন অন্তত ৩ সেকেন্ড এবং এরপর ছেড়ে দিন।
আপনার ঠোঁটের চারপাশ মসৃন ও রিংকেলস থেকে মুক্ত রাখতে সহজ এই ব্যায়ামটি প্রতিদিন অন্তত ১৫বার করুন।
চোখ ও ভ্রু:
চোখের ও ভ্রু’র চারপাশ হলো এমন এক জায়গা যা অধিকাংশ নারী-ই চায় যেকোনো রেখা বা রিংকেলস থেকে মুক্ত রাখতে। শত হলেও, চোখ আমাদের মুখের সবচাইতে লক্ষনীয় অংশ। তাই এর আশেপাশে যেকোনো ধরনের রিংকেলসই আমাদের বয়সের ভিন্নতার নিশ্চিত নির্দেশক।
এই ব্যায়াম শুরু করার আগে আপনার চোখ বন্ধ করুন এবং নিজেকে শিথিল করুন। এবার ধীরে ধীরে চোখ খুলে মাথা ও মুখের অবস্থান অপরিবর্তিত রেখে যতটা সম্ভব উপরের দিকে তাকান। আবার আস্তে আস্তে নিচের দিকে তাকান। এভাবে অন্তত ১৫বার চোখ উপর নীচ করুন। কার্যকর ফলাফলের জন্য দিনে অন্তত একবার এই ব্যায়াম করা জরুরি।
ভ্রু’র ক্ষেত্রে প্রথমেই সোজা হয়ে বসুন। চোখ বন্ধ করুন এবং নিজেকে শিথিল করুন। এবার আপনার চোখের ভ্রু ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। ২-১ সেকেন্ড পর ভ্রু স্বাভাবিক করুন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে এটা করার সময় আপনার চোখ যেন বন্ধ থাকে। আপনার চোখের চারপাশ সুন্দর ও রিংকেলস মুক্ত রাখতে প্রতিদিন অন্তত ১৫ বার এই ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
গুরুত্বপূর্ণ:
যেকোনো ব্যায়ামের ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। একদিনে অতিরিক্ত ব্যায়াম করে এরপর ছেড়ে দিলে তাতে বরং ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। অল্প করে হলেও নিয়মিত চর্চা রাখুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন