ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত শতাধিক
যশোরের অভয়নগরে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির ৬ দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবীতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ। সাংবাদিক সহ নারী, পুরুষ আহত হয়েছে শতাধিক। পুলিশের নির্যাতনে প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ হাজার হাজার পানিবন্দি মানুষ রাস্তায় টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে আন্দোলনকারী ছাড়াও পথচারী, ব্যবসায়ীরা আহত হয়।
বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ সময় গুরুতর আহতাবস্থায় ২০ জনকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য, দৈনিক সত্যপাঠের সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রণজিৎ বাওয়ালী, প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক বৈকুন্ঠ বিহারী, ভারপ্রাপ্ত সদস্য প্রভাষক ও সাংবাদিক চৈতন্য কুমার পাল, দৈনিক জন্মভুমির অভয়নগর প্রতিনিধি শেখ আতিয়ার রহমান, পথচারী বায়েজিদ, বিধান টিকাদার, বাহারুল দফদার, শুক্লা বিশ্বাস, অনিতা রানী, সন্ধ্যা রায়, মিনতী দাস, প্রমা কর্মকার প্রমুখ। পুলিশের বর্বরচিত হামলায় অভয়নগরবাসী বিস্ময় প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান, তিনটি স্কেভেটর, আমডাঙ্গা খাল খনন, ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনসহ কৃষকদের বিনামূল্যে সার, বীজ ও কিটনাশক প্রদাণের দাবীতে আজ বুধবার সকালে অভয়নগরের যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া নূরবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। সে মোতাবেক আজ বুধবার সকাল থেকে পানিবন্দি হাজার হাজার নারী, পুরুষ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে “পানি সরাও মানুষ বাচাঁও” শ্লোগান দিয়ে নওয়াপাড়া বাজারে আসতে থাকলে পুলিশ তাদের বাঁধা প্রদাণ করে। এ সময় পুলিশ দৈনিক সময়ের অভয়নগর প্রতিনিধি চৈতন্য কুমার পালের সাথে অশোভন আচরণ করে।
পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে হাজার হাজার নারী, পুরুষ উপজেলা প্রাণি সম্পদ হাসপাতালের সামনে সমবেত হয়ে মিছিল সহকারে মহাসড়কের আসতে থাকলে নূরবাগ স্বাধীনতা চত্তরে পুলিশ তাদের বাঁধা প্রদাণ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তার উপর বসে পড়লে পুলিশ বিনা কারণে বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠিচার্জে আহত হয় সাংবাদিক, নারী, পুরুষ, ব্যবসায়ী ও পথচারীসহ শতাধিক ব্যক্তি। পুলিশের বর্বরচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জনতা। চলে পুলিশের দফায় দফায় হামলা। পুলিশের ভয়ে সাধারণ জনগণ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিলে তাদেরকে টেনে হিচড়ে বের করে লাঠি পেটা করে। অনেক ব্যবসায়ী পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে যশোর দড়াটানা চত্তরে প্রতিবাদ সমাবেশ সহ খুলনা বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডে স্মারকলিপি পেশ ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। এ ব্যাপারে অভয়ণগর থানার ওসি আনিসুর রহমান সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, পুলিশের উপর হামলার প্রতিবাদে আত্মরক্ষার্থে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য, দৈনিক সত্যপাঠের সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে নির্দয় ভাবে লাঠিপেটা করে নারী, পুরুষ ও সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আহত করে। যা খুবই নিন্দনিয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন