ভবন ভাঙতে আরও এক বছর সময় পেল বিজিএমইএ
বেআইনিভাবে নির্মিত ১৬ তলা বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলতে আরও এক বছরের সময় পেয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতিটি।
‘বহুতল ভবন ভাঙতে এবারের পর আর সময় চাইবে না’- বিজিএমইএ’র দাখিল করা এমন মুচলেকার পর তাদের এক বছর সময় দিয়েছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার এই সময় দেয়। আদালতে রাজউকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বিজিএমই’র পক্ষে ছিলেন কামরুল হক সিদ্দিকী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
গত ২৫ মার্চ ভবন ভাঙতে আরো এক বছরের সময় আবেদন করে বিজিএমইএ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৭ মার্চ তাদেরকে ‘এর পর আর সময় চাইবো না’ এ সংক্রান্ত একটি মুচলেকা দিতে বলে আপিল বিভাগ।
গত ২৮ মার্চ আদালতে মুচলেকা দেয়া হলেও সেখানে অস্পষ্টতা থাকায় আদালত তাদেরকে ফের মুচলেকা সংশোধন করে দিতে বলে। একইসঙ্গে সোমবার আদেশের জন্য তারিখ ধায় করে। আজ সংশোধিত মুচলেকা গ্রহণ করে ভবনটি ভাঙতে এক বছরের সময় দেয় আপিল বিভাগ।
এর আগেও ভবন ভাঙতে একাধিকবার সময় নিয়েছে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত বছরের ৮ অক্টোবর সাত মাস সময় দেয় আপিল বিভাগ। আগামী মে মাসে সেই সময় শেষ হবে। তার আগেই সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করে পোশক শিল্প নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি।
১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। নির্মাণ শেষ হলে ২০০৬ সালের ০৮ অক্টোবর ভবনটির উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে এটি বিজিএমইএ’র প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিজিএমইএর ভবন ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে বিজিএমইএকে নিজস্ব অর্থায়নে ভবনটি ভাঙতে বলা হয়। ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের ভূমি যে অবস্থায় ছিল, সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। এর দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে আদালত বলেন, ভবনটির সৌন্দর্য ও মহিমান্বিত হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো। এই ধ্বংসাত্মক ভবন অচিরেই বিনষ্ট করা না হলে এটা শুধু হাতিরঝিল নয়, গোটা ঢাকা শহরকে সংক্রমিত করবে।
রায়ে আদালত বলেন, বিজিএমইএ যাদের কাছে ওই ভবনের ফ্ল্যাটের অংশ বিক্রি করেছে, তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। দাবি করার এক বছরের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয় রায়ে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, বিজিএমইএ ভবনের সঙ্গে তাদের চুক্তি ছিল বেআইনি।
বিজিএমইএর ওই ভবন নির্মাণ বা ভবনের অংশ কারো কাছে বিক্রি করার কোনো অধিকার ছিল না। ওই জমির ওপর বিজিএমইএর মালিকানা নেই বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। ভবনটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করায় তারা কোনো সুদ পাওয়ার দাবিদার নয় বলে মত দেন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন বিজিএমইএ সভাপতি। লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২ জুন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় দেন।
এ আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে যা গত বছরের ৫ মার্চ খারিজ হয়। পাশাপাশি কার্যালয় সরাতে কতদিন সময় লাগবে তা জানিয়ে বিজিএমইএর আইনজীবীকে আবেদন দিতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ, যার শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১২ মার্চ আপিল বিভাগ ছয় মাস সময় দেন। এরপর থেকেই আবেদন করে সময় বৃদ্ধি করছে বিজিএমইএ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন