ভবিষ্যতে কেমন রোবট আসছে? জানতে আগ্রহী সব বড় টেক প্রতিষ্ঠান
ফেসবুক, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো বড় যাবতীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের এখন একটাই প্রশ্ন, ভবিষ্যতে কেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট আসছে? কিন্তু তাদের এ আগ্রহের কারণটি বহু বিশ্লেষককেই ভাবিয়ে তুলেছে। প্রশ্ন উঠেছে কেন প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে বাড়তি আগ্রহ প্রকাশ করছে? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. নিয়োগ
প্রথম যে কারণটিতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যতের রোবট বিষয়ে জানতে আগ্রহী তা হলো, নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়টি পরিষ্কার করা।
বর্তমানে বহু প্রতিষ্ঠানই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে। আর এটি তাদের কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ভবিষ্যতে প্রযুক্তির গতিপ্রকৃতি কোনদিকে যাবে তা জেনে নেওয়া।
প্রযুক্তি ক্রমে পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার ধরনও পাল্টাচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের সঠিক বিষয়ের সন্নিবেশ করে সঠিকভাবে তাল মিলিয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ডেস্কটপ পিসি থেকে প্রযুক্তিবিশ্বের নজর এখন মোবাইল কম্পিউটিংয়ে চলে গিয়েছে।
প্রযুক্তির এ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক দক্ষ লোক নিয়োগ করা দরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর। আর এ ক্ষেত্রে কোন ক্ষেত্রে লোক নিয়োগ করা হবে তা জেনে নেওয়ার জন্যই প্রযুক্তির গতিপ্রকৃতিক জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
শুধু নিয়োগই নয়, এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য অবকাঠামো পরিবর্তনেরও প্রয়োজন হবে। আর এ জন্য সবার আগে জেনে নিতে হবে কোন বিষয়ে জোর দিতে হবে।
২. ক্লাউড যুদ্ধ
অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের বাজারে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। আর এ অবস্থায় বেশ ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইছে এ যুদ্ধে এগিয়ে থাকতে। আর এগিয়ে থাকার জন্য প্রয়োজন তথ্য। সঠিকভাবে প্রযুক্তির গতিপ্রকৃতি জানা না থাকলে এগিয়ে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব।
অ্যামাজনের ওয়েব সার্ভিস বর্তমানে ক্লাউড সার্ভিসের ক্ষেত্রে যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে। এটি তাদের সর্বোচ্চ উপার্জনের খাত হতে যাচ্ছে। আর এ মুনাফায় ভাগ বসাতে চায় মাইক্রোসফট ও গুগল। ফলে বিষয়টি যেন যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এ বিষয়ে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে মুনাফার আশায়।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন প্রচুর অর্থ, প্রযুক্তি আর অসংখ্য উন্নতমানের ডেভেলপার।
এ ক্ষেত্রে ক্লাউড সার্ভিস ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে যথেষ্ট ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। আর এ জন্য যাবতীয় বড় প্রতিষ্ঠানই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কিভাবে এ থেকে লাভ তুলে নেওয়া যায়, প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন তাদের।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন
মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন
স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন