ভবিষ্যত বিএমডাব্লিউ বাইক চালাতে লাগবে না হেলমেট!
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তসম্পন্ন ভবিষ্যতের মোটরসাইকেলের ধারণা দিলো বিএমডাব্লিউ গ্রুপ। বাইকটি এতটাই নিরাপত্তা দেবে যে চালকের হেলমেটসহ অন্যান্য জিনিসের প্রয়োজন হবে না।
বিএমডাব্লিউ মটোরাড ভিশন আগামী প্রজন্মের জন্য ১০০টি মোটরসাইকের বানাচ্ছে যা সায়েন্স ফিকশন কোনো ছবির বাইক বলেই মনে হবে। এই জার্মান ব্র্যান্ড তাদের শতবার্ষিকী উপলক্ষে এমন বাইক বানানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এই গ্রুপ তাদের পরের কনসেপ্ট বাইকের প্রচারণা চালাচ্ছে বিভিন্ন শহরে। ক্যালিফোর্নিয়ার ইভেন্টের মাধ্যমে প্রচারণা শেষ করে তারা।
বিএমডাব্লিউ জানায়, মোটরসাইকেলটি হবে উচ্চ প্রযুক্তির। এতে থাকবে ভারসাম্য রক্ষার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। এমনকি দাঁড়ানো অবস্থাতেও বাইকটি পড়ে যাবে না। নতুন চালকরা নিরাপদে বাইকটি চালাতে পারবেন।
এই মোটরসাইকেলের আরো কিছু প্রযুক্তিকে নির্মাতারা বলছেন ‘ডিজিটাল সঙ্গী’। এর মাধ্যম ভ্রমণকে আরো উপভোগ্য করতে চালককে নানা পরামর্শ দেওয়া হবে। চোখে থাকবে ‘দ্য ভিশন’। এটি একটি চশমা যার মাধ্যমে চারপাশের এলাকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে। সামনের রাস্তার অবস্থা দিব্যি দেখতে পারবেন। চালকের মোটরসাইকেল চালনার স্টাইল বুঝে নানা সেবা দিতে থাকবে বাইকটি।
বিএমডাব্লিউ এর হেড অব ইউজার এক্সপেরিয়েন্স হলগার হাম্ফ বলেন, বাইকটি চারপাশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে চালকের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা দেবে।
এ মোটরসাইকেলে রয়েছে ম্যাট ব্ল্যাক ‘ফ্লেক্সফ্রেম’। এটি বাইকটিকে এদিক সেদিক ঘোরাতে সহায়তা করে। আধুনিক বাইকে যে জয়েন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বাইকটিকে ঘোরাতে হয়, কনসেপ্ট বাইকে জয়েন্ট সিস্টেম নেই। হ্যান্ডেল বারটি ঘোরালে বাইকের গোটা ফ্রেম ঘুরে যাবে। কম গতিতে সামান্য ঘোরালেই চলবে। তবে বেশি গতিতে দিক পরিবর্তন করতে একটু বেশিই ঘোরাতে হবে। ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে ছোটা অবস্থায় হ্যান্ডের বার সামান্য ঘোরালে চলবে না।
তবে এই কনসেপ্ট বাইকের সবই যে আধুনিক তা নয়। এর কালো কোণের অংশ, সাদা লাইন এবং বক্সার ইঞ্জিন ১৯২৩ আর৩২ এর কথা মনে করিয়ে দেয়। ওটা ছিল বিএমডাব্লিউয়ের প্রথম মোটরসাইকেল। এর সিট, ফ্রেম কাভার এবং বড়ি কার্বনের তৈরি। নন-গ্যাসোলিন পাওয়ার সোর্সের মাধ্যমে চলবে বাইকটি।
এটি যে ভবিষ্যত রাইড হতে চলেছে তাতে সন্দেহ নেই অনেকের। তবে দেখলে মনে হয়, এত দ্রুত এটি রাস্তায় দেখা যাবে না। কমে থেকে এটি বানানো হবে তা নিয়েও তেমন কোনো তথ্য দেয় বিএমডাব্লিউ। হেড অব ডিজাইন বলেন, যখন আমরা কোনো মোটরসাইকেল বানানোর চিন্তা করি, তখন ৫-১০ বছর পরের হিসাব করি। তবে এই মোটরসাইকেলটির ক্ষেত্রে আরো অনেক পরের সময় বিবেচনা করা হয়েছে। সূত্র : এক্সিকিউটিভ স্টাইল
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন
মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন
স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন