২০১৩ সালে বার্সেলোনায় নাম লেখানো নেইমার ইউরোপিয়ান ফুটবলের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন। এবারের ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কারে তিনজনের চূড়ান্ত তালিকায় মেসি-রোনাল্ডোর সঙ্গে জায়গা করে নেয়া ব্রাজিলের এ ফুটবল সেনসেশনকে বিশ্বের সেরা ফরোয়ার্ড হিসেবে দেখছেন মেসি-নেইমারের ক্লাব সতীর্থ বার্সার রাফিনহা। ১১ জানুয়ারি জুরিখে এক জমকালো অনুষ্ঠানে বোঝা যাবে কার হাতে উঠছে ব্যালন ডি’অরের পুরস্কার। গত সাত বছর এ বর্ষসেরার পুরস্কার মেসি আর রোনাল্ডো ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বিশ্ব ফুটবল এবার দেখার অপেক্ষায় মেসি তার শীর্ষস্থান ধরে রেখে নিজেকে আরও দূরে নিয়ে যাবেন, নাকি রোনাল্ডো মেসিকে ধরে ফেলবেন, নাকি নতুন ফুটবলার হিসেবে মেসি-রোনাল্ডোকে টপকে যাবেন নেইমার। রাফিনহার বিশ্বাস, আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর মেসির হাতেই ব্যালন ডি’অরের পুরস্কার। এমন বিশ্বাস এই মিডফিল্ডারের। তিনি জানান, ‘কোনো সন্দেহ নেই বার্সার ‘১০ নম্বর’ জার্সি গায়ে খেলা মেসিই এ পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। নেইমারের ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা জানি। সে বার্সায় প্রথম মৌসুমে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি। দ্বিতীয় মৌসুমে সে যা করেছে তাতে নেইমারকে বিশ্বসেরা না বলে কোনো উপায় নেই।’ রাফিনহা যোগ করেন, ‘আমি নেইমারের ভক্ত। মেসিকে আমার কাছে অন্য গ্রহের ফুটবলার মনে হয়। ভবিষ্যতে নেইমার বিশ্বের একনম্বর ফুটবলার হতে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বফুটবলে মেসিই একনম্বর।’ গত মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কাতালানদের হয়ে ৫১ ম্যাচে ৩৯ গোল করেছেন নেইমার। এ মৌসুমে ১৬ গোল করেছেন ১৯ ম্যাচে। গত মৌসুমে দলকে ট্রেবল শিরোপা জেতাতে মেসি ৫৭ ম্যাচে গোল করেছেন ৫৬টি। এ মৌসুমে প্রায় দুই মাস দলের বাইরে থাকলেও ১৭ ম্যাচে ১২ গোল করেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলের সুপারস্টার। ওয়েবসাইট।