ভাগ্যিস সানিয়ার ভ্যালেন্টাইন হননি সোহরাব
আচ্ছা যদি এমন হত! সানিয়া মির্জা আর সোহরাব মির্জার মধ্যে বিয়ে হত। তা হলে কী হত? সানিয়া কি ডাবলসে শিখর ছুঁতে পারতেন?
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শোয়েব মালিক যেভাবে হায়দরাবাদি কন্যার পাশে দাঁড়ান, যেভাবে তিনি সানিয়ার খেলাটা বোঝেন, সেইরকম কি হতে পারতেন সোহরাব? এগুলো এখন প্রশ্ন হিসেবেই থেকে যাবে। বাস্তবে তো আর জুটি বাঁধেননি সানিয়া-সোহরাব। গানের কথায়— ‘‘যেটা ছিল না ছিল না সেটা না-পাওয়াই থাক, সব পেলে নষ্ট জীবন’’।
সানিয়াকে পেলে সোহরাবের জীবন নষ্ট হত কি না জানা নেই। হয়ত হত। হয়ত হত না। হয়তো সানিয়ার সেলিব্রিটি স্টেটাসের সঙ্গে মানাতে না-পেরে ঘর ভাঙত দু’ জনের। সম্পর্ক ভালভাবে পাকার আগেই সানিয়া অঙ্কুরেই তা নষ্ট করে দেন। সানিয়ার এ হেন সিদ্ধান্তের পরে ভারতের ক্রীড়াজগতে ঝড় উঠেছিল। সানিয়া নিন্দিত হয়েছিলেন। প্রবলভাবে সমালোচিতও হয়েছিলেন। সোহরাবের সঙ্গে বাগদান পর্ব সেরে ফেলার পরেও, কেন সানিয়া সেই সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছিলেন, তা নিয়ে কম জল্পনা তৈরি হয়নি সেই সময়ে।
সোহরাবকে ছেড়ে দিয়ে সানিয়া জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক শোযেব মালিককে। কেন সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল সানিয়া ও সোহরাবের? তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে পরবর্তীকালে সানিয়া এবং সোহরাব বলেছিলেন, ‘‘আমরা মানাতে পারছিলাম না।’’ সানিয়া সব অর্থেই ছিলেন সেলিব্রিটি। আর সোহরাব সেই জগতের মানুষই নন। তাঁর ঠাকুরমা যদিও রাজপরিবারের ছিলেন। সম্ভ্রান্ত ঘরের ছেলে সোহরাব। ভীষণ রকমের লাজুক। সানিয়ার লাইফস্টাইলের সঙ্গে কোনওভাবেই মানিয়ে নিতে পারতেন না সোহরাব। সানিয়ার সেলিব্রিটি স্টেটাস প্রসঙ্গে পরে সোহরাব বলেছিলেন, ‘‘আমার কাছে সানিয়া সেই পাশের ঘরের মেয়ে। ও যা অর্জন করেছে, তা নিজের যোগ্যতায়। ওর জন্য শুভেচ্ছা রইল।’’ সানিয়াও শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সোহরাবকে। নিন্দুকেরা বলেছিলেন, ওটা লোক দেখানো। সোহরাবের সঙ্গে বাগদান পর্বের আগেই বহুপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সানিয়ার। মহেশ ভূপতি, শাহিদ কপূরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সানিয়া, এ হেন প্রশ্নও সামলাতে হয় সোহরাবকে। শোয়েব মালিকের সঙ্গে কীভাবে সানিয়া জড়িয়ে পড়েছিলেন, সেটাও ছিল রহস্য।
সোহরাবের সঙ্গে সানিয়ার বিয়ে ভাঙার ঘটনা ভালভাবে মেনে নেননি সোহরাবের পরিবার। সোহরাবের বাবা সানিয়ার নাম শুনলেই ক্ষেপে যেতেন। তাঁর মা-ও তাই। সোহরাবকে নিজের জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে সানিয়ার মুখে আর কোনওদিনই শোনা যায়নি তাঁর কথা।
সানিয়া এখন বিশ্বের একনম্বর ডাবলস তারকা। বলতে গেলে, শোয়েব মালিককেও নাম ও যশের দিক থেকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। সোহরাব হারিয়েই গিয়েছেন। সানিয়ার সঙ্গে নাম জড়ানোর পরে সোহরাব পাদপ্রদীপের আলোয় চলে এসেছিলেন। অল্প কিছুদিনের জন্য। সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরেও সোহরাব-মির্জাকে নিয়ে কিছুদিন আলোচনা হয়। ব্যস তার পরে সব শেষ। সানিয়া এখন দূর আকাশের তারা। সানিয়ার ভ্যালেনটাইন না হয়ে সোহরাব এখন হাঁফ ছেড়ে হয়তো বাঁচছেন। সোহরাবের অনুভূতি জানার যে আর অবকাশই নেই। সোহরাব মির্জা হারিয়ে গিয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন