ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না এসব মানুষের
শ্রমিকরাই দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। শ্রমজীবী মানুষরা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে সমাজে তারা কতটুকু প্রাপ্য সম্মান বা মূল্যায়ন পান। সামান্য মজুরি নিয়েই কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করতে শ্রমিকদের।
সাতক্ষীরার তালা সদরের শিবপুর গ্রামের শ্রমিক আবুল সরদার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যারা শ্রমজীবী মানুষ সমাজে তাদের কোনো মূল্যায়ন নেই। খুব খাটো করে দেখা হয় আমাদের। তবে যখন কারো কাজের প্রয়োজন হয় তখন ঠিকই খুঁজে নেয়। আমাদের মূল্যায়ন এটুকুই। আবার ভোটের সময় প্রয়োজন পড়ে আমাদের।
নির্মাণ শ্রমিক সূর্য ঋষি বলেন, আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন নেই। মানুষের থাকার জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেই। অথচ আমরা থাকি কুঁড়েঘরে এটাই আমাদের ভাগ্য।
ধানকাটার শ্রমিক খলিলুর রহমান বলেন, মানুষের জমিতে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তুলে দেই। আমাদের নিজেদের খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে না। দিন শেষে যে মুজুরি পায় তা দিয়ে চাল কিনেই খেতে হয়। তাতেই চলে সংসার।
সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসতি। এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমজীবী মানুষ রয়েছে। এর মধ্যে শিশু শ্রমিকও রয়েছে।
আইনজীবী ফাইমুল হক কিসলু বলেন, শিশু শ্রম আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রান্তে হোটেলে, চায়ের দোকানে, ইটভাটায়, গ্যারেজে, ওয়ার্কসপে শিশুশ্রম লক্ষ্যণীয়। তবে প্রশাসনিকভাবে এগুলো বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় না।
জেলার গরীব পরিবারের মানুষরা অনেক সময় বাধ্য হয়েই আবার অনেক সময় না বুঝেই শিশুদের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, সাতক্ষীরার অনেক স্থানে শিশু শ্রম রয়েছে। সকলে যদি সচেতন না হয় তবে এগুলো শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তারপরও সাতক্ষীরায় শিশুশ্রম বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন