ভাঙাচোরা মাটির ঘরেই বাস, জন্ম থেকে অন্ধ, বয়স ৭৩ তবুও মেলেনি সরকারি কার্ড
জন্ম থেকে অন্ধ। বয়স ৭৩। জন্ম ১৯৪৩ সালের ৭ মে। ভাঙাচোরা মাটির ঘরেই বাস। তিন ছেলে কৃষিজীবী। অভাবের সংসার। সরকার বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দিলেও ৭৩ বছর বয়স্ক কেরামত আলী গাজীর ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী কিংবা বয়স্ক ভাতার কার্ড।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বালাকাটি গ্রামে স্ত্রী ফাতেমা বেগমের সঙ্গে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে জীবনযাপন করছেন কেরামত আলী। স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের বয়স ৬৫ বছর। তিনিও খুববেশী কাজকর্ম করতে পারেন না।
ছোট ছেলে ইবাদুল গাজীর উপার্জিত সামান্য আয় থেকে দেখাশোনা চলে মা-বাবার। ইবাদুল গাজী একটি মাছের হ্যাচারির শ্রমিক।
কথা হয় অন্ধ কেরামত আলীর সঙ্গে। তিনি গাজী প্রতিবেদককে বলেন, আমি জন্ম থেকে অন্ধ। ১৯৭১ সালে মাথা যন্ত্রণার কারণে এক ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার ইনজেকশান দেন। তারপর চোখ যন্ত্রণা শুরু হয়। অনেক ডাক্তার, কবিরাজ দেখালেও চোখের যন্ত্রণা কমেনি।
ধীরে ধীরে চোখ দুটি নষ্ট হয়ে যায়। তিন ছেলে তারাও অসহায়। এখন ছোট ছেলের আয় দিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। চেয়ারম্যান, মেম্বারদের অনেক বলেছি, একটি কার্ড করে দিতে। কিন্তু কেউ করে দেয়নি। কেরামত আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, অভাবের সংসারে অনেক সময় না খেয়ে দিন পার হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী শওকত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
তবে কালিগজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মইন উদ্দিন হাসানকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বিষয় আমাকে কেউ জানায়নি। তার সরকারি সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন