ভাঙ্গা হাতেই ম্যাচ জয় কোহলির
আইপিএলের (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) নবম আসরে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। টুর্নামেন্টের সূচনা জয় দিয়ে করলেও পরের ম্যাচে হারের সংখ্যাই বেশি ছিল। সেরা সেরা তারকাদের নিয়ে দলটি তৈরি হলেও সাফল্য ধরা দিচ্ছিল না। তবে হঠাৎ করেই যেন নিভে যাওয়া আগুন দপ করে জ্বলে উঠেছে। দুর্দান্ত সব জয় ছিনিয়ে নিচ্ছে দলটি। এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান কিন্তু দলের অধিনায়ক কোহালিরই। এইতো শেষ ম্যাচে ভাঙ্গা হাত নিয়েও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন এ তারকা ব্যাটসম্যান।
প্লে অফ নিশ্চিত করতে হলে কোহলির দলকে বাকি সবগুলো ম্যাচেই জয় পেতে হবে। এটা খুব ভালোভাবেই মনে একে নিয়েছে কোহলি ও তার দল। সেইভাবেই তারা এগুচ্ছে। কলকাতার বিপক্ষে ফিরতি পর্বের ম্যাচে গেইল-কোহলি-ভিলিয়ার্স ঝড়ে দুরন্ত জয় নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু। তবে দলের জন্য কিন্তু একটি দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। তা হলো ওই ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় বল লেগে কোহলির ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলের কাছটা পুরো ফেটে চিড়ে গিয়েছে। লাগতে পারে অস্ত্রপচারও।
আঘাতটা বেশ গুরুতরই ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই কোহলিকে মাঠ ছাড়তে হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আবার মাঠে ফিরে আস। তাই সবাই ভেবেছিল চোট তেমন মারাত্বক নয়। সবাই তার ব্যাটিং জাদু দেখার অপেক্ষায় ছিল। তার আঙ্গুলের কাছটা যে ফালা হয়ে গিয়েছে তা কেউ বুঝতেই পারেননি। প্রায় হাঁ হয়ে যাওয়া আঙ্গুল নিয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে ফিরে ফিজিও কে বলেন, প্লাস্টার করে এক্ষুণি মাঠে নামার ব্যবস্থা করো।
কোহলির এমন কথা শুনে ফিজিও বেশ আঁতকেই ওঠেন। তবে তার কিছু করারও ছিল না। কোহলির কথামতো তিনি কাজ করে দেন। আর এ ভাঙ্গা হাত নিয়েই কোহলি ওপেনিং-এ নামেন। শুধু তাই নয়। ৫১ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জয় পাইয়ে ছাড়েন। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটিও পেয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার হাতে কোহলি বলেন, ‘হাতে ৭-৮টা সেলাই পড়তে পারে। তবে তা নিয়ে দুশিন্তা নেই। বরং ফাটা হাত নিয়ে দলকে জেতাতে পেরেই আমি খুশি। যতগুলো সেলাই দিতে হোক, এখন রাজি। তবে দলকে সে সময় এভাবে ফেলে যেতে চাইনি।’
দরের জন্য এত একাগ্রতা বুঝি কোহলিই দেখাতে পারেন। কিন্তু তার জন্য একটি খারাপ সংবাদই অপেক্ষা করছিল। হাতে অস্ত্রপচার করাও লাগতে পারে। ম্যাচ শেষে মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি হাসপাতালে যান। ফলে সামনের ম্যাচটিতে তিনি নাও থাকতে পারেন।
আইপিএলের শুরু থেকেই কোহলি দারুণ ফর্মে রয়েছেন। প্রতিটি ম্যাচেই তিনি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। এবারের আসরে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহটিও (৭৫২ রান) তার দখলেই নিয়েছেন কোহলি। তাই দলে তার না থাকাটা প্রভাব ফেলতেই পারে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন