বেঙ্গালুরু টেস্টের বিতর্ক সবাইকে কতটা তাতিয়ে দিয়েছে, সেটি বোঝা গেল মিচেল জনসনের এক টুইটার-পোস্টগুলোতে। সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে তিনি স্বীকার করেছেন, বেঙ্গালুরু টেস্টের উত্তাপ তাঁকে এতটাই ছুঁয়ে গিয়েছে, তাঁরও ইচ্ছে করছিল মাঠে নেমে পড়তে! একই সঙ্গে তিনি একহাত নিয়েছেন বিরাট কোহলিকেও। কোহলিকে সংযত আচরণ করা উচিত বলে ইঙ্গিত করে খেপিয়ে দিয়েছেন ভারতীয়দের। পাল্টা টুইটে জনসনকে ভারতীয় সমর্থকেরা তির ছুড়েছেন, জনসন মাঠে নিজে কী করতেন তা নিয়ে।

জনসন টুইট করেছিলেন, ‘ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচটি দারুণ হয়েছে। তবে হার-জিত-ড্র ছাপিয়ে একজন অধিনায়ককে আরও সৌজন্যবোধের পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল।’

নারায়ন নামের একজন লিখেছেন, ‘ওহ্! জনসন, আপনি ঠিকই বলেছেন। জোনাথন ট্রট যখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিল, তখন আপনাদেরও (অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার) সৌজন্যবোধের পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আপনারা বলেন, সীমা অতিক্রম না করা পর্যন্ত স্লেজিংয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু আমি বুঝি না, এই সীমাটা আসলে কতদূর!’
জনসন এর উত্তরে লিখেছেন, ‘আমি স্লেজিং করেছি। মনস্তাত্বিক লড়াই লড়েছি। কিন্তু আমি আমার ক্যারিয়ারে তো কখনোই অধিনায়ক ছিলাম না।’

‘অধিনায়ক’ প্রসঙ্গে জনসন পড়ে যান আরও একটি আক্রমণের মুখে। ললিত শর্মা নামে একজন লিখেছেন, ‘জনসন আপনি তাহলে বলতে চাচ্ছেন ডিআরএস নিতে একজন অধিনায়কের অবশ্যই ড্রেসিংরুমের দিকে তাকানো উচিত নয়?’

বেঙ্গালুরু টেস্টে স্টিভ স্মিথ ডিআরএসের জন্য ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়েছিলেন। খোঁচাটা বুঝতে পেরেই আর কথা বাড়াননি জনসন। কতজনকেই বা পাল্টা জবাব দেওয়া যায়? এরপর থেকে যেন আত্মসমর্পন করতে থাকেন।

শর্মার টুইটের জবাবটা দিয়েছেন এই বলে, ‘বন্ধু, আমি আইনটা সম্বন্ধে খুব ভালো করেই জানি। ডিআরএসের সময় ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে পরামর্শ চেয়ে স্মিথ অন্যায় করেছে।’

গৌরব মালহোত্রা নামের একজন জনসনকে প্রশ্ন করেছেন, ‘জনসন আপনি কি অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে এ ব্যাপারে সমর্থন করেন? কোহলি এটার নিন্দা করেছে, এখানে ভারতীয়-অস্ট্রেলীয় কোনো ব্যাপার নয়।’

জনসনের উত্তর, ‘নাহ্, আমি স্মিথকে সমর্থন করি না। সে যা করেছে তা ভুল করেছে, এবং আমি নিশ্চিত, সে এর ফল পাবে।’ সূত্র: টুইটার।