ভারতের বিপক্ষে এবার জয় চান তাসকিন
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে চমকে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। পরের দুই ম্যাচেও তাদের বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছেন এই পেসার। কিন্তু দলকে জেতাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তার। এবার অন্তত একটি ম্যাচে দলকে জিতিয়ে সেই দুঃখ ভুলতে চান এই তরুণ।
গত জুনে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ানডে অভিষেক হয় তাসকিনের। ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দুই উইকেট নেন তাসকিন, সেই ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। তৃতীয় ম্যাচটি খেলেন বিশ্বকাপে কোয়ার্টার-ফাইনালে। ৬৯ রানে তিন উইকেট নিলেও আবার হারের তেতো স্বাদ পেতে হয় ২০ বছর বয়সী পেসারকে।
ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। অতিথিদের বিপক্ষে একটি জয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের খেলার সম্ভাবনা আরেকটু উজ্জ্বল করবে। তাই নিজেকে উজাড় করে দিতে উন্মুখ তাসকিন।
“দুনিয়ার যত ভালো ব্যাটসম্যানই হোক না কেন, ভালো বল সামলানো তার জন্য কঠিনই হবে। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো বল করার চেষ্টা করবো। অন্তত একটা ম্যাচ জেতানোর ইচ্ছা আছে আমার। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতের ওয়ানডে দলের প্রতি সমীহের কমতি নেই তাসকিনের। তবে ক্রমশ উন্নতি করা বাংলাদেশকেও পিছিয়ে রাখছেন না তিনি। তাই সমান তালে লড়ার স্বপ্ন দেখতেও ভয় পাচ্ছেন না এই পেসার।
ভারত সিরিজের জন্য ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য ঠিক করেননি তাসকিন। ভারতের প্রতিটি উইকেটই হবে এই পেসারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। “ওদের প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানই খুব ভালো; ওদের সব উইকেট নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার লক্ষ্য থাকবে, সুযোগ পেলে একটা ভালো স্পেল করে ম্যাচ জেতানোর। বিশ্বকাপে ভালো খেলার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা বাংলাদেশ এখন সবার সমীহ আদায় করে নিয়েছে। পরবর্তী সিরিজগুলোতেও ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান ১২ ওয়ানডেতে ১৯ উইকেট নেওয়া এই ডানহাতি পেসার।
“বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং সব দিকেই আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে, আসলেই জেতা সম্ভব। দেশবাসীও চায় ভারতের সঙ্গে যেন আমরা জিততে পারি, আমাদেরও খুব ইচ্ছা ভারতের সঙ্গে জেতার। আশা করি, খুব ভাল খেলব। নামের দিক থেকে ওরা এগিয়ে থাকলেও মাঠের লড়াইয়ে আমরা তাদের ছেড়ে কথা বলব না। আমাদের বোলারদের জন্য এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের ওপর অনেক দায়িত্ব থাকবে, ধারাবাহিকভাবে ভালো জায়গায় বল করতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে হবে। আশা করি, আমরা ভালো কিছুই করব,” যোগ করেন তিনি।
একটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে ৭ জুন বাংলাদেশে আসছে ভারত। ১০ জুন থেকে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শুরু হবে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ। ১৮, ২১ ও ২৪ জুন দিন-রাতের তিনটি ওয়ানডেই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন