ভারতে চরম ভোগান্তিতে বাংলাদেশি সাংবাদিকরা
ব্রাজিলে যেমন ফুটবলের চাষ হয় ভারতে তেমন ক্রিকেটের। মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা এখানে মহাতারকার চেয়েও বড় কিছু। জনপ্রিয়তায় বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান, সালমান খান বা আমির খানদের চেয়েও এগিয়ে তারা। সারা বছর ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকে শত কোটি মানুষের ক্রিকেট পাগল এই জাতি।
কিন্তু লড়াইটা হয় যেখানে, সেখানকার চিত্র চরম হতাশার। ভারতের প্রায় প্রতিটা স্টেডিয়ামে গিয়েই ভোগান্তিতে পড়তে হয় সংবাদকর্মীদের। ‘মিডিয়া ফ্যাসিলিটিস’ নামক জিনিসটা এই দেশে নেই বললেই চলে। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামও এর বাইরে নয়।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার একমাত্র টেস্টের আয়োজন করা হয়েছে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে। ভারতে বাংলাদেশের প্রথম সফর বলে এই ম্যাচটাকে ঐতিহাসিক হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু ঐতিহাসিক এই ম্যাচ কভার করতে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সকল সংবাদকর্মীদের।
বিপাকে পড়তে হতে পারে তার আভাস মিলেছিল ম্যাচের আগেরদিনই (৮ ফেব্রুয়ারি)। সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রেসবক্সে ঢুকে কাজ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীরা অবাকই হয়েছেন। কোনো মিডিয়াকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইন্টারনেটের লাইন নিতেই রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয় সবাইকে। অবশেষে ইন্টারনেট মিললেও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা মেলেনি।
ইন্টারনেটের লাইন এই আছে তো এই নেই। অভিযোগ জানাতে গিয়েও আরেক ভোগান্তি। এ সমস্যার কথা শোনার কেউ নেই। কেউ থাকলেও ইন্টারনেট লাইনের সমস্যা নিয়ে কথা বলার মতো সময় তার হলো না। প্রায় সারাদিনই একই অবস্থা। উপায় না পেয়ে হোটেলে ফিরেই কাজ করতে হয়েছে বাংলাদেশ থেকে আসা ক্রীড়া সাংবাদিকদের।
ম্যাচের দিন আরও বাজে অবস্থা। টসের আগে প্রেসবক্সে ঢুকে দেখা গেল ইন্টারনেট কানেকশন নেই। কখন আসবে তারও হদিস মিলল না। টস হয়ে গেল। তখন ছাড়া হলো এসি। জানানো হলো ইন্টারনেট কানেকশন এখন পাওয়া যাবে। কিন্তু ইন্টারনেট কানেকশনের যে হতচ্ছাড়া অবস্থা লাইন পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হল সবাইকে। সেটাও কিছুক্ষণের জন্য।
অনেক চেষ্টার পর ইন্টারনেট কানেকশন মিললেও কিছুক্ষণ পরই উধাও। স্থানীয় সময় সাড়ে ১০টার দিকে জানানো হল তার কাটা পড়েছে। এক ঘন্টা সময় লাগবে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ইন্টারনেট লাইন আর আসেনি। কখন আসবে সেটাও কেউ বলতে পারছেন না। পরে জানা জায় ইন্টারনেট লাইনের ব্যাপারটি মূলত যিনি দেখেন কার্ড না হওয়ায় তিনি মাঠেই ঢুকতে পারেননি।
সাধারণত টসের পরই প্রেসবক্সে বসা ক্রীড়া সাংবাদিকদের হাতে দুই দলের খেলোয়াড় তালিকা পৌঁছে দেয়া হয়। কিন্তু রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে হয়তো আজব নিয়ম! খেলোয়াড় তালিকা খুঁজেও পাওয়া গেল না। ম্যাচের যখন ঘন্টা খানেক খেলা শেষ তখন একজন খেলোয়াড় তালিকা নিয়ে এলেন। সেটাও শুধু ভারত দলের। আবার এই তালিকাও অনেক সাংবাদিক পেলেন না।
শুধু এই স্টেডিয়ামেই নয় ভারতের অন্যান্য মাঠেও একই চিত্র। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কভার করতে এসে বিভিন্ন স্টেডিয়ামে এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন বাংলাদেশি সাংবাদিকরা। ধর্মশালায় ইন্টারনেট কানেকশন ১০ মিনিট পর পর চলে গিয়েছিল। কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেন্সে ইন্টারনেট সমস্যার পাশাপাশি চেয়ার স্বল্পতার কারণে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল কয়েকজন সাংবাদিককে।
সব মিলিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট কভার করতে এসে চরম বাজে অভিজ্ঞতাই হল বাংলাদেশি সাংবাদিকদের। বড় আফসোসের জায়গা, সমস্যা শোনার মতোও কাউকে পাওয়া গেল না। তবে ব্যাপারটি যে শুধু বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সাথেই হয়েছে তেমন নয়। স্থানীয় সাংবাদিকরাও একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন