ভারত কীভাবে নাকানিচুবানি খায় দেখিয়ে দিল বাংলাদেশ
২০০৩ সালে ভারতের কোচ হয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। সেবার টিভিএস কাপ নামে ঢাকায় তিন দলের ওয়ানডে সিরিজ হয়েছিল। হয়তো তাঁর মনে থাকার কথা, সেই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের ২৭৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ করেছিল ঠিক ৭৬। তখনকার কোচ জন রাইট ব্যক্তিগত কাজে দেশে ফেরায় সেই সফরে ভারতের ভারপ্রাপ্ত কোচ অশোক মালহোত্রা কাল দেখলেন, কীভাবে এক যুগে বদলে গেছে দৃশ্যপট। শুরু হয়েছে নতুন যুগ। সেই ভারত ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশের কাছে।
‘নতুন বিশ্বনাথ’ হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে আসা মালহোত্রার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অতটা লম্বা হয়নি। ক্রিকেট ছেড়ে পড়ে কোচিংয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। ব্যাটের বদলে মাঝেমধ্যে এখন হাতে তুলে নেন কলম। কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের জন্য যেমন আজ কলাম লিখেছেন। তাতে ভারতের কড়া সমালোচনার পাশাপাশি ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ দলের অগ্রযাত্রার। দুই বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য দলের কোচের দায়িত্ব নেওয়া মালহোত্রা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ দেখিয়ে দিল, কীভাবে ভারতের মতো তারকাখচিত দলকেও রীতিমতো নাকানিচুবানি খাইয়ে হারানো যায়।’
মাত্রই কিছুদিন আগে বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে লজ্জায় ডুবিয়েছে পাকিস্তানকে। সেখান থেকে শিখে ভারতের সাবধানী হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে ঘরের মাঠেই পাকিস্তানকে ওয়ান ডে আর টি-টোয়েন্টিতে হারানোর আত্মবিশ্বাসটাই যেন বৃহস্পতিবার মিরপুরে তামিম ইকবালদের পারফরম্যান্সে ফুটে উঠল। ওই ঘটনার পরই ভারতের আরও সাবধান হওয়া উচিত ছিল। ওদের মনে রাখা দরকার ছিল ঘরের মাঠে মাশরাফিরা বিপজ্জনক হয়ে উঠতেই পারে।’ ভারতের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই ধোনির দলকে ডুবিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
দারুণ একটা শুরুর পরও ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। দলের বিপদের সময় ধোনি কেন দায়িত্ব নিয়ে আগে ব্যাটিংয়ে এলেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন এই ৫৮ বছর বয়সী কোচ, ‘দলের ব্যাটিংয়ের এমন বেহাল অবস্থা যেখানে, সেখানে ক্যাপ্টেন আগে ভাগে নেমে দলের হাল ধরবে না কেন? বাংলাদেশের বোলাররা দুর্দান্ত বল করছে বলে হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকব!’
মালহোত্রা লিখেছেন, ‘তামিম ইকবাল আর সৌম্য সরকারের মতো ব্যাটিং ভারতের তারকা ব্যাটসম্যানরা করতে পারল না কেন, এটাই আমার কাছে বিস্ময়ের।’ তাঁর আরও বিস্ময় বাংলাদেশের ঝোড়ো শুরু, ‘বাংলাদেশের ইনিংসের এক শ রান উঠল ৭৯ বলে!’
বাংলাদেশ চার পেসার নিয়ে খেলে সফল হয়েছে। কিন্তু তিনি মনে করেন, ভারতের একজন বাড়তি স্পিনারই নেওয়া উচিত ছিল। শুধু তা-ই নয়, পার্টটাইম স্পিনার রায়না এভাবে বোলিংটা না করলে ভারত আরও বড় ব্যবধানে হারত বলে মনে করেন তিনি, ‘রায়না ১০ ওভারে রান দিয়েছে ৪০। ও না থাকলে সাড়ে তিন শ তুলত বাংলাদেশ।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন