ভারত-পাকিস্তানের ভুলে যাওয়া ফাইনালগুলো
ক্রিকেট বিশ্বে বহুল প্রতীক্ষিত ও আকাঙ্ক্ষিত এক লড়াইয়ের নাম পাক-ভারত মহারণ। সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ থাকে ক্রিকেটের এই লড়াইয়ে। রাজনৈতিক বৈরী এই দুটি দেশের ক্রিকেট লড়াই সব সময়ই জিভে জল এনে দেওয়ার মতো। তবে এখন অনেকটাই জৌলুস হারিয়ে ফেলেছে পাক-ভারতের ক্রিকেটযুদ্ধ। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে ভারতের ক্রিকেট, আর একই সময়ে উল্টোভাবে পিছিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটের যাত্রা।
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ভারত-পাকিস্তানে ক্রিকেট লড়াই হয়েছে। গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচে সহজেই জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দলের কাছে হারের পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় সরফরাজ আহমেদের দল। আর ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শিরোপাপ্রত্যাশী ইংল্যান্ডকে হারায় দলটি। বাংলাদেশকে হারিয়ে ভারতও উঠে গেছে ফাইনালে। ১৮ জুন শত্রুভাবাপন্ন এই দুটি দেশের ফাইনালের লড়াইটা হবে ওভালে। এর আগে আসুন দেখে নেই স্মৃত্মির অন্তরালে চলে যাওয়া ভারত পাকিস্তানের কয়েকটি ফাইনাল ম্যাচের টুকরো অংশ।
বেনসন অ্যান্ড হেজেস ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ ১৯৮৫ : অস্ট্রেলিয়ার অঙ্গরাজ্য ভিক্টোরিয়ার ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ১৫০তম বর্ষ উপলক্ষে ক্রিকেট বিশ্বের সাত টেস্ট খেলুড়ে দলকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজের ফাইনালে দেখা হয় ভারত ও পাকিস্তানের। এশিয়া কাপ বা দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজের বাইরে ফাইনালে এটি ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সাক্ষাৎ। এই টুর্নামেন্টেই প্রথম দিবারাত্রির ক্রিকেট শুরু হয়। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে কপিল দেব ও লক্ষণ শিবরামকৃষ্ণের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১৭৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন জাভেদ মিয়াদাদ। এ ছাড়া ইমরান খান ৩৫, ওয়াসিম রাজা ২১, মুদাসসর নজর করেন ১৪ রান। কপিল দেব ২৩ রানে তিনটি ও শিবরামকৃষ্ণ ৩৫ রানে নেন তিন উইকেট। জবাবে দারুণ ব্যাটিং করে ভারত। কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত ও রবি শাস্ত্রী উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে নেন ১০৩ রান। এরপর বাকি কাজটুকু বেশ ভালোভাবেই সারেন আজহারউদ্দিন ও দিলীপ ভেং সরকার। ভারত ম্যাচটা জিতে নেয় ৮ উইকেটে।
অস্ট্রেলেশিয়া কাপ ১৯৮৬ : এশিয়ার তিন দল ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে শারজায় অনুষ্ঠিত হয় এই টুর্নামেন্টটি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনবার এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তিনবারই শিরোপা জেতে পাকিস্তান। প্রথম আসরেই ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, সুনীল গাভাস্কার ও ভেংসরকারের ব্যাটিং বীরত্বে ২৪৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত। গাভাস্কার ৯২, শ্রীকান্ত ৭৫ ও ভেংসরকার ৫০ রান করেন। জবাবে জাভেদ মিয়াদাদের শতক ও শেষ বলে ছক্কার কল্যাণে এক উইকেটে জয় পায় পাকিস্তান। মিয়াদাদ করেন ১১২ রান।
অস্ট্রেলেশিয়া কাপ ১৯৯৪: এই টুর্নামেন্টের শেষ আসরটি হয় ১৯৯৪ সালে। প্রথমবারের মতো দ্বিতীয়বারও ফাইনালে ওঠে ভারত-পাকিস্তান। টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। আমির সোহেল (৬৯), বাসিত আলী (৫৭) ও সাইদ আনোয়ার (৪৭) ব্যাটিংয়ে ভর করে ২৫০ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে অজয় জাদেজা, শচীন টেন্ডুলকার, আজহারউদ্দিনরা ব্যর্থ হলে ৩৯ রানে হেরে যায় ভারত। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন বিনোদ কাম্বলি। এ ছাড়া অতুল বেদাদি ৪৪ ও নভোজৎ সিং সিঁধু করেন ৩৬ রান। শচীন ২৬ বলে ২৪ রান করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন