নিউজিল্যান্ড টি-২০ ম্যাচের সময় হঠাৎ কি কারণে কলকাতার ইডেন গার্ডেন অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল! ইচ্ছে করেই কি বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোন কারণ। এ নিয়ে যখন বিতর্ক চলছে তখন মুখ খুললেন সরকারি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ত্রুটি নয় মানব সৃষ্ট কারণে অমনটা ঘটেছে। এ বিষয়ে সাংবাদিক শুভ্র নিয়োগি লিখেছেন, শনিবার বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ওয়ার্ল্ড টি-২০ ম্যাচ হয় কলকাতার ইডেন গার্ডেনে। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ করে অন্ধকারে ডুবে যায় এ মাঠ। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন সবাই। পরে দেখা গেছে ওটা ঘটেছিল দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির ব্যর্থতায়। এটা কোন যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না।

বস্তুত ক্রিকেট এসাসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) ওই স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্ব পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের (পিডব্লিউডি) ওপর ন্যাস্ত করেছিল। সেখানে কন্ট্রোল সেন্টারের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তার ওপরই লাইট অপারেশনের দায়িত্ব ছিল। তার বয়স ৭০ কোটায়। তিনি ওই ভুল করে বসেছিলেন। পিডব্লিউডির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস মুখার্জী ছিলেন ইনচার্জ অব লাইটস। তিনি সিইএসসি পাওয়ার থেকে জেনারেটরে লাইন দিতে ভুলে গিয়েছিলেন। এর ফলে হাই কোর্ট প্রান্তরের টাওয়ারের লাইট অন্ধকারে ডুবে যায়। পিডব্লিউডির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, এস মুখার্জী পিডব্লিউডির প্রধান প্রকৌশলী (বৈদ্যুতিক) হিসেবে ২০০৩ সালে অবসরে যান। বেশ কয়েক বছর তিনি ইডেন গার্ডেনে লাইটিং ব্যবস্থাপনা দেখাশোনা করেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ থেকে দিবারাত্রির ম্যাচের সময় ডেনারেটরের সঙ্গে ফ্লাডলাইটের সংযোগ দেয়ার চর্চা প্রচলিত।

সন্ধ্যা অবধি সিইএসসি থেকে বিদ্যুত সরবরাহ দেয়া হয় স্টেডিয়ামে। তারপর থেকে জেনারেটরের সংযোগে চলে। তবে যথেষ্ট সূর্যালোক থাকা অবস্থায়ও তা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার খেলার বিরতির সময় সুইচ পরিবর্তন না করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে এস মুখার্জী ভুলে গিয়েছিলেন এ বিষয়টি। এ বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেন বাংলাদেশের ইনিংসের মাঝপথে। তার এ ভুলেই বিব্রতকর ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।