ভালুকায় পেঁপের চাষ করে ভাগ্য বদলালেন কৃষক মোস্তফা
ভালুকার কৃষিতে সম্পর্ণ নতুন অর্থকরী ফসল হিসাবে যোগ হয়েছে পেঁপের আবাদ । পেঁপে চাষ করে অনেকে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন । যে সব চালা জমি একসময় গোচারনভূমি হিসাবে সারা বছর অনাবাধি পরে থাকতো ওই জমিতে এক সময় শুরূ হয় নানা রকম সবজি ও কলা বাগানের চাষ । কিন্তু তাতে নানা কারনে চাষীদের লোকসান গুনতে হতো । এক সময়ের আগাছা ভরা জমিতে পেঁপের আবাদ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন উপজেলার আংগার গাড়া গ্রামের কৃষক মোস্তফা কামাল ।
২৯শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আংগারগাড়া ইন্তারঘাট গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ,গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন সাইজের পাঁকা ,আধাপাঁকা ,কাঁচা পেঁপের সারি বদ্ধ দুষ্টিকরা মনোলোভা জোকা ,
চোখ জুরানো মনোমুদ্ধকর দূশ্য ,যতদুর চোখ যায় শুধু পেঁপে আর পেঁপে সাথে কৃষকের প্রানখোলা হাসি যেন সফলতায় তার চোখে মুখে ছলছল করছে । তেমনই একটি বাগান করেছেন আংগারগাড়া গ্রামের কৃষক মোস্ত্ফা কামাল ।
ইউরোপের তাইওয়ান রেডলিডি পেঁপে চাষে সফলতা এনেছেন ভালুকার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আংগারগাড়া গ্রামের কৃষক মোস্তফা কামাল । কাঁচা ও পাঁকা উভয় অবস্থাতেই বিক্রি করে তিনি এখন স্বাবলম্বী । আগে যেখানে অন্যান্য ফসল করে প্রতি বৎসর লোকসান গুনতে হতো ,এখন তার পুরোপুরিই উল্টো,প্রতি বৎসর কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার মত আয় হচ্ছে । নিজের প্রেত্রিক সূত্রে পাওয়া প্রায় ৪ একর জমিতে ৩২০০ টি পেঁপে গাছ লাগিয়ে পেঁপে চাষ করেছেন তিনি । গত ৩বছর যাবত তিনি এই ফসল করেছেন । আগে ছোট আকারে করলেও এবার বৃহত বাগান করেছেন ।
কৃষক মোস্তফা কামাল বলেন ,আমার বাপ, দাদারা এই অঞ্চলের নামকরা কৃষক ছিলো ,তারা এসব জমিতে ধান ,কলার বাগান করতো কিন্তু তাতে তাদের লোকসান গুনতে হতো । আমি বাড়ীর পাশে একজনকে ছোট পেঁপে বাগান করতে দেখে আমারও ইচ্ছা হয় এই বাগান করার তাই পাশ্ববর্তী ব্র্যাক নার্সারী থেকে এই জাতের চারা এনে রোপন করি । গত ৩বছর যাবত আমি এই বাগান করছি । এখন আমি পুরোপুরি স্বাবলম্বী । প্রতি বছর বিক্রি করছি প্রায় ১৭/১৮ লক্ষ টাকার পেঁপে । কেমন খরচ হলো জিঙ্গেস করলে তিনি বলেন আমার এই বাগান করতে প্রায় ৬লক্ষ টাকার মত গেছে । এই বছর বৃষ্টিতে কিছুটা নষ্ট হলেও আমি হতাশ না কমপক্ষে আমি ১৫/১৬ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পাবো ,এই পর্যন্ত ৬লক্ষ টাকার মত বিক্রি করেছি । তিনি আক্ষেপ করে বলেন আমি সরকারী কোন পৃষ্টপোষকতা পাই নাই পেলে আমি আরও সাবলম্বী হতে পারবো ।
ভালুকা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন ,তাইওয়ান রেডলিডি জাতের পেঁপে খুবই ভাল জাতের পেঁপে ,খেতে সুস্বাধু ও মিষ্টি হয় । গাছের গোড়া হতে ফলন ধরে এবং একেকটি গাছে অনেক বেশী ফল ধরে । আমরা ব্লক সুপারভাইজারকে পাটাবো এবং ওই কৃষককে সকল প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা করবো।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বিয়েবাড়িতে টেবিল বসিয়ে ‘হোটেল ব্যবসা’ বন্ধের দাবি
বিয়েবাড়িতে টেবিল বসিয়ে উপহারসামগ্রী নেওয়ার প্রচলন বন্ধের দাবিতে চাঁদপুরে র্যালিবিস্তারিত পড়ুন
চাঁদপুরে মাদকের টাকার জন্য মারাত্মকভাবে কুপিয়ে মাকে হত্যা
চাঁদপুর শহরে মাদকসেবী ছেলের হাতে মা খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতবিস্তারিত পড়ুন
১৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধার
চট্টগ্রামের পতেঙ্গার বহির্নোঙর এলাকায় একটি ট্রলার থেকে ১৫ লাখ ইয়াবাবিস্তারিত পড়ুন