ভালোবাসার মানুষটি কি বিষন্নতাগ্রস্থ? জেনে নিন কীভাবে সাহায্য করবেন তাঁকে
আপনার ভালবাসার মানুষটি কি বিষন্নতা রোগে আক্রান্ত? আপনার সামনেই হয়ত রোজ ধীরে ধীরে অভিশাপের মত বিষণ্ণতা গ্রাস করছে তাকে। পায়ে পায়ে সে এগিয়ে যাচ্ছে অন্ধকার একা জগতে। আপনিই সাহায্য করতে পারেন তাঁকে। এজন্য প্রথমেই বুঝতে হবে, মানুষটির মানসিক অবস্থা বিষন্নতার কোন পর্যায়ে রয়েছে।
আমাদের দেশে, এমনকি দেশের বাইরেও মানসিক সমস্যাগুলো কেউ ভাগাভাগি করে নিতে চায় না। এর চর্চাই নেই সমাজে। অথচ বিষণ্ণতা এমন একটি রোগ যা মানুষকে শয্যাশায়ী করতে পারে, এমনকি বিষন্নতা গ্রস্থ ব্যক্তি আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করতে পারেন।
একজন মনোবিজ্ঞানী বিষণ্ণতা রোগের লক্ষণ বিগত ১ সপ্তাহের আচরণ বিশ্লেষণ করেই বুঝতে পারেন। কিন্তু রোগী নিজে সেটা প্রকাশ করতে বা অন্যকে বুঝতে দিতে বা অন্যের সহযোগিতা চাইতে কখনো ১ মাস বা কখনো এক বছরও সময় নেয়। আসলে এমনও রোগী আছে যারা কখনো সহযোগিতাই নেন না। ভয়ঙ্কর মানসিক অবস্থা নিয়ে নিজের এবং অন্যেরও ক্ষতি করে যান।
তাই নিজেই খেয়াল করুন-
১। আপনার সঙ্গী কি সারাক্ষণ হতাশ বোধ করেন?
২। আপনি সাথে থাকলেও একাকীত্ব প্রকাশ করেন?
৩। তাঁর চোখেমুখে কি শুন্যতার ছাপ দেখতে পান?
৪। তিনি কি তাঁর নিত্যদিনের কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন?
৫। মুড সুইং করছে কি?
৬। দ্রুতই কি উদ্বিগ্ন হয়ে যাচ্ছেন?
৭। ওজন কমে যাচ্ছে কি?
৮। অনেক ঘুমাচ্ছেন বা ঘুমাচ্ছেন না?
ধৈর্য্য ধরুন
একজন বিষণ্ণতাগ্রস্থ মানুষ খুবই ধীরে কথা বলেন। নিজের কথা বলতেও চান না সহজে। তাঁর সমস্ত কথা বোঝা দুস্কর হয়ে পড়তে পারে। আপনার সমস্ত ধৈর্য্য এবং শ্রবণ শক্তি কাজে লাগাতে হবে। অথবা ভালবাসার মানুষটি ভাবতে পারে, তিনি কখনোই সুস্থ্য হবেন না। থেরাপিস্টের সাহায্য ছাড়া তাকে সাহায্য করা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।
বোঝার চেষ্টা করুন
বিষণ্ণতা গ্রস্থ ব্যক্তি সহজেই আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। আপনার সামান্য কথায়ও সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়তে পারে। আবার বিপরীতভাবে আপনার উপর ক্ষিও হয়ে উঠতে পারে। তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। তিনি যে স্বাভাবিক মানসিক অবস্থায় নেই, এটা সবসময় মনে রাখবেন।
সময় দিন
তাকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার শত কাজের ফাকেও তাঁর জন্য আপনার সময় যেন কখনো কম না পড়ে। তাঁর সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন সঙ্গ। নিজে সময় দিন। বন্ধুদের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ বাড়িয়ে দিন। হোক তাঁর বন্ধু, নিজেই আগ বাড়িয়ে দাওয়াত দিয়ে আড্ডা জমিয়ে দিন।
গুরুত্ব বোঝান
আপনার জীবনে তাঁর গুরুত্ব কতখানি এটা তাকে বুঝিয়ে দিন। একজন স্বাভাবিক মানুষ নিজ দায়িত্বে অনেক কিছু বুঝে নেয় বা নেবে। কিন্তু বিষণ্ণতাগ্রস্থ ব্যক্তি নিজেকে সবসময় অপ্রয়োজনীয় ভাবতে শুরু করে। সে ভাবতে থাকে, কারও কাছে তাঁর কোন গুরুত্ব নেই। তাই সচেতনভাবেই বলুন, ভালবাসি। শুধু তারই আপনাকে প্রয়োজন নয়, আপনারও তাকে প্রয়োজন।
কারণ খুঁজে বের করুন
বিষন্নতার পেছনে কোন কারণ নেই তো? অনেক রকম কারণ থাকতে পারে। অনেক না পাওয়া, অনেক গভীর ক্ষত মানুষকে ধীরে ধীরে একা করে দেয়। আপনি যদি তাঁর বিষন্নতার কারণ জানতে পারেন তাহলে তাকে সাহায্য করা আরও সহজ হবে।
চিকিৎসা নিন
সবচেয়ে ভাল হয়, মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিলে। বিষণ্ণতা মাথা ব্যাথার মত কোন রোগ নয়। এটিকে অবশ্যই গুরুত্বের সাথে নেওয়া উচিৎ। আর বিষণ্ণতা রোগের চিকিৎসাও আছে। নিয়মিত থেরাপিস্টের কাছে গেলে ৬ মাস থেকে ২ বছরে মানুষ সুস্থ হয়ে যায়। তাই তাকে চিকিৎসকের কাছে নিন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন