‘ভাল মানুষ দেইহা ভোট দিমু’
‘ভোট আমগর একটা অধিকার। ভোট না দিয়াও থাকবার পারি না। তাই এবার নিয়ত করছি ভালো মানুষ দেইহা ভোট দিমু।’
৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জেলার রাজীবপুর উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের প্রতিক্রিয়া জানতে চা-পান দোকানি শহীবর রহমানকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি এভাবে তার মনোভাব ব্যক্ত করেন।
নির্বাচনকে ঘিরে সর্বত্র উৎসব আমেজে মেতে উঠেছে ভোটাররা। এবার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক ব্যবহার ও দলীয় প্রার্থী দেয়া হয়েছে। এ কারণে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দলের অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে দলের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জাতীয় পার্টি জেপির প্রার্থীও রয়েছে তিন ইউনিয়নে। ইউপি নির্বাচনের ভোট নিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মনোভার জানার চেষ্টা করা হয়েছে।
রাজীবপুরে মোটরসাইকেল ভাড়ায় যাত্রী টানেন শাহীনুল ইসলাম। তার গাড়িতে হরেক রকম মানুষ যাত্রী হয়ে যাতায়াত করে থাকেন। ভোট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাকে ভোট দিমু কন, যেই চেয়ারম্যান-মেম্বার হবো সেই ঘুষ খাবো। ভোট চাওয়ার সময় তো তারা কয় আমি ভিজিডি, বয়স্ক ভাতায় নাম দিতে কোনো টাকা নিমু না। হাত ধইরা শপথ করে। কিন্তু এ শপথ পরে আর থাকে না।’
রাজীবপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা সোবাহান মিয়া বলেন, ‘এবার তো তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীই ইয়াং (যুবক)। তিনজনকেই তো আর ভোট দেয়া যাবে না। তাদের মধ্যে যে সৎ তাকেই ভোট দেয়ার নিয়ত করেছি।’
দিনমজুরি হিসেবে কামলা দিয়ে সংসার চালান আছরব আলী। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান হওয়ার পর তারা তো আর আমগর খোঁজ রাখে না। তাই ভোটের আগে সব প্রার্থীরই খাওয়া খাইয়া যামু। ভোট দেয়ার সময় তো একজনকেই দেয়া লাগবে।’ এই ধরনের মন্তব্য অনেক ভোটারের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, রাজীবপুর সদর ইউনিয়নে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে জাতীয় প্রার্থী কামরুল আলম বাদল। কামরুল আলম বাদল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন।
কোদালকাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হুমায়ুন কবির ছক্কুর সঙ্গে লড়াই হবে বিএনপি প্রার্থী ছবের আলীর সঙ্গে। আর মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ, বিএনপির প্রার্থীর চেয়ে অনেক এগিয়ে জাতীয় পার্টি জেপির প্রার্থী আনোয়ার হোসেন। এমন আলোচনা জানা গেছে এলাকার ভোটারদের কাছ থেকে।
ওই ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৩১ মার্চ। এখন চলছে প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনার ব্যাপক তৎপরতা। ভোটারদের আগ্রহ থাকায় এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কুড়িগ্রামে তিন উপজেলার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলার ও তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার তিনবিস্তারিত পড়ুন
কুড়িগ্রামে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার
কুড়িগ্রামে মটর মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসীরবিস্তারিত পড়ুন
স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, জামায়াত নেতাকে গণধোলাই
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়া হাতেনাতে ধরা পড়ার পর একবিস্তারিত পড়ুন