ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রে সিম বিক্রি, রাজধানীতে গ্রেফতার ৬১
রাজধানীর পল্লবীতে অভিযান চালিয়ে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে মোবাইল সিম বিক্রির সঙ্গে জড়িত ৬১ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের ছবি দিয়ে বাংলা লিংকের সিম বিক্রি করছিল। এদের কাছ থেকে ভুয়া তথ্য ও ছবি সম্বলিত গ্রাহক নিবন্ধন ফরম ৬৩০টি, ভুয়া এনআইডি’র প্রিন্ট কপি ১৮৬টি, ১৩৬টি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ৬টি ও প্রিন্ট করা অসংখ্য অজ্ঞাত ব্যক্তির ছবি।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার উপ-পরিচালক মেজর রইসুল আজম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্লবীর ইয়ানতাই চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ভবনের সপ্তম তলায় এমআর কমিউনিকেশনের কার্যালয়ে র্যাব অভিযান চালায়। এটি বাংলালিংক অপারেটরের মিরপুর অঞ্চলের (মিরপুর, শাহআলী, পল্লবী, দারুসসালাম ও রুপনগর থানা) পরিবেশক প্রতিষ্ঠান। এই কার্যালয়ে তাদের কর্মচারীরা বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি প্রিন্ট করা, ভুয়া ন্যাশনাল আইডি কার্ড বানানো এবং এসব ডকুমেন্ট ফাঁকা ফরমের সাথে সংযুক্ত করছিল। সেখানে উপস্থিত বাংলা লিংকের বিক্রয় প্রতিনিধি, পরিবেশক মালিক, ম্যানেজার ও পরিবেশকের বিক্রয় প্রতিনিধি ও অন্যান্যদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
র্যাব তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। এমআর কমিউনিকেশনের কাছ থেকে সিম নিয়ে তাদের নিযুক্ত বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে রিটেইলারের কাছে বিক্রয়ের জন্য প্রদান করে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক বিক্রয় প্রতিনিধির জন্য মাসিক একটি লক্ষ্য মাত্রা থাকে। রিটেইলার সিমটি যখন কোনো ক্রেতার কাছে বিক্রয় করে তখন অনেক ক্ষেত্রে শুধু ফিংগারপ্রিন্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ নিয়েই সিমটি সচল করে দেয়। অর্থ্যাত্ যে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং জন্ম তারিখের বিপরীতে সিমটি বিক্রয় হলো তা সঠিক কিন্তু নাম ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্যাবলী অসম্পূর্ণ। রিটেইলার এসব অপূরণকৃত ফরমগুলো আবার প্রতিনিধির মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে জমা দেয়। পরবর্তীতে ডিস্ট্রিবিউটর পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ ঠিক রেখে ভুয়া নাম-ঠিকানা ও ছবি ব্যবহার করে নিজেরাই জাতীয় পরিচয়পত্র বানায় এবং সে অনুযায়ী অপূরণকৃত ফরমটি সম্পূর্ণ পূরণ করে অপারেটরের কাছে জমা দেয়।
র্যাবের মেজর রইসুল আরো জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের সাথে নাম-ঠিকানা ও ছবি সঠিক কিনা তা যাচাইয়ের কোনো পদ্ধতি না থাকায় অপারেটর এ ভুলটি সনাক্ত করতে পারে না। ভুল ফরমটিই তাদের ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে। কোন অপরাধ বা ঘটনা তদন্ত করতে গেলে পরবর্তীতে আইন-শৃংখলা বাহিনী এ ভুল এবং ভুয়া তথ্যের রের্কডই পেয়ে থাকে। যার কারণে মূল অপরাধী বা ব্যক্তিকে সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে এমআর কমিউনিকেশনের ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন