ভূমি দস্যুদের দখলে কুমারখালীর কালীগঙ্গা নদী
এস.এম.মাজিদুল ইসলাম,কুষ্টিয়া ॥
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালীগঙ্গা নদী শুকিয়ে যাওয়ায় ভূমি দস্যুদের কবলে পড়েছে। কুষ্টিয়ার পদ্মার বুক চিরে বেরিয়ে আসা বিশ্ব পরিচিত লালনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালীগঙ্গা নদীর দুপাশ থেকে বাধ দিয়ে চলছে পুকুর নির্মান। এমনভাবে ভূমি দস্যুরা নদীটিকে দখল করে রেখেছে। নদীটি ১ থেকে ৩ মিটার পর্যন্ত প্রশস্থ। যা দেখতে অনেকটা মাঠের সেচ খালেরমত। কালীগঙ্গার দুপাশ দিয়ে অবৈধ পুকুর নির্মান করে চলছে ব্যাক্তিগতভাবে মাছ চাষ। কুষ্টিয়ার পদ্দার বুক থেকে হরিনারায়নপুর পযর্ন্ত নদীর ভিতর অসংখ্য পুকুর রয়েছে। এসব পুকুর নির্মানকারীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এই নদীতে আমাদের বাপ দাদার অনেক সম্পত্তি নদীর ভিতরে বিলিন হয়ে গিয়েছিল তাই এখন সেই সম্পত্তি ফিরে পাচ্ছি।
পুকুর বানানোর পাশাপাশি নদীতে চলছে ধান চাষসহ নানা ফসল চাষ করার পাল্লা। কালীগঙ্গা নদী বর্তমানে ফসলের মাঠে পরিনত হয়েছে। কালী নদীর বুক জুড়ে চলছে ধান চাষের মহাউৎসব। এই নদীর উপরে যাদের জায়গা আছে নদীর ভিতরে ঐ সোজা জায়গাটুকু তাদের হয়ে গেছে। তবে নদীর অনেক যায়গায় বাজার সংলগ্ন স্থানে দেখা যায় অবৈধ দোকান নির্মান করছে। অনেকে আবার নদীর ভিতর ঘরবাড়ি নির্মান করে বসবাস করছে।
কালীনদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বালুও উৎত্তোলন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কুমারখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়লা আকতারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি জানি না, তবে কালী নদীতে এমন দখল হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কথিত আছে এই কালীনদীতে আগে ব্যবসায়ী লঞ্চ চলতে দেখা গেছে। এ নদীতে অতীতে জেলেরা মাছ শিকার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেছে। নদীর সেই যৌবন আজ কোথায় গেল। বর্তমানে পানি শুন্যতার কারনে সেচ কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পানিশুন্যের অন্যতম কারন ভারতের উজান থেকে পানি প্রবাহ ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করায় কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ছয়টি নদী শুকিয়ে গেছে। ফারাক্কা বাঁধসহ বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণের কারণে পলি পড়ে নদীগুলো ভরাট হয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। নাব্য হারানোর কারণে নদীতে বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে ফসলের মাঠ।
গুরুত্বপূর্ণ এ নদীগুলোর সঙ্গে জেলার মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সর্ম্পক রয়েছে। তাছাড়া এসব নদী সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী খালের মাধ্যমে জমির সেচ কার্যক্রম নির্ভরশীল। নদীগুলোর পানি প্রবাহ কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে আসায় অনেক এলাকায় সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এদিকে এই নদী বর্তমানে পুরোটাই মরে গেছে। কালীগঙ্গার বুকজুড়ে মাইলের পর মাইল চর জেগে উঠেছে। এক সময়ের স্রোতবাহী এ নদী বর্তমানে পানিশূন্য মাঠে পরিণত হয়েছে। তবে বর্তমানে এই কালীগঙ্গা নদী ভূমি দস্যুদের ছবলে দখল হয়ে গেছে। বিলিন হয়ে গেছে কালীগঙ্গার অস্তিত্ত্ব।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে ধরতে ডিবির পরিকল্পনা
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ধারণা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমবিস্তারিত পড়ুন
তৃতীয়বার আনারকে মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে: কাদের
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) স্বর্ণ চোরাচালানকারীবিস্তারিত পড়ুন
মাস্টারমাইন্ড শাহীনের অগাধ রহস্য
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডেবিস্তারিত পড়ুন